
১৮ দিন মহাকাশে কাটিয়ে অবশেষে পৃথিবীতে ফিরলেন ভারতের শুভাংশু শুক্ল এবং তাঁর তিন নভশ্চর সঙ্গীরা। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় বেলা ৩টে ১মিনিট নাগাদ প্রশান্ত মহাসাগরে ভাসতে ভাসতে নেমে এল স্পেসএক্সের মহাকাশযান 'ড্রাগন'। অবশ্য তখন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগো উপকূলে রাত।
এদিন নির্ধারিত সময়েই পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করে শুভাংশুদের ক্যাপসুল। সেই সময় যে কোনও মহাকাশযান তীব্র তাপ এবং ঘর্ষণের সম্মুখীন হয়। 'ড্রাগন'-এর গতি ছিল ঘন্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার। ধীরে ধীরে তা কমতে কমতে ২৪ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হয়, এর পর একে একে খুলে যায় চারটি প্যারাশুট। ভাসতে ভাসতে ক্যালিফোর্নিয়ার দিয়াগো উপকূলে নেমে আসে ক্যাপসুলটি।
শুভাংশুদের উদ্ধারের জন্য প্রশান্ত মহাসাগরে আগে থেকেই তৈরি ছিল 'রিকভারি ভেহিকল'। ছিল স্পেসএক্সের একটি দলও। ক্যাপসুলটি জাহাজে তোলার পরে ক্যাপসুলের হ্যাচ খুলে ভিতর থেকে বের করা হয়েছে চার নভশ্চরকে। এরপর হবে তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষা।
অন্যদিকে, ছেলে পৃথিবীতে প্রবেশ করতেই খুশিতে কেঁদে ফেলেন শুভাংশুর বাবা-মা। শুভাংশুর বাবা শম্ভুদয়াল শুক্ল ও মা আশা শুক্ল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছেলের এই সাফল্যে তাঁরা গর্বিত। ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বাস শুরু হয়ে গিয়েছে শুভাংশুর শহর লখনউয়ে।
গত ২৫ জুন স্পেসএক্সের 'ড্রাগন' মহাকাশযানে চড়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন শুভাংশুরা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অ্যাক্সিয়ম-৪-এর ক্রু-কমান্ডার পেগি হুইটসন, মিশন বিশেষজ্ঞ স্লাওস উজানস্কি-উইজনিউস্কি এবং টিবর কাপু। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে বিদায় নেওয়ার আগে রাকেশ শর্মার উক্তির রেশ ধরে শুভাংশু বলেছিলেন, ‘‘ভারত আজও ‘সারে জঁহা সে আচ্ছা’।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন