'বুল্লি বাই'-র মতো মুসলিম মহিলাদের নিলামে তোলার 'সুল্লি ডিলস' অ্যাপ নির্মাতাও গ্রেপ্তার

২০২০ সালে ‘ট্রেড মহাসভা’ নামের একটি অনলাইন গ্রুপে ঠিক হয় যে, মুসলিম মহিলাদের হেনস্তা করা হবে। তার জন্য টুইটারের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াকেও ব্যবহার করা হত।
ধৃত অমকরেশ্বর ঠাকুর
ধৃত অমকরেশ্বর ঠাকুরছবি - সংগৃহীত
Published on

অনলাইনে মুসলিম মহিলাদের নিলামে তোলার অভিযোগে এবার আর এক অ্যাপ নির্মাতাকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ। ধৃতের নাম অমকরেশ্বর ঠাকুর। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপের নির্মাতা ২১ বছরের নীরজ বিষ্ণোইকে অসমের জোড়হাট থেকে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।

এদিন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে অভিযুক্ত অমকরেশ্বরকে গ্রেফতার করা হয়। বুল্লি বাই ও সুল্লি ডিলস অ্যাপের কার্যকারিতা প্রায় একই। এই অ্যাপের বিরুদ্ধেও মুসলিম মহিলাদের হেনস্তা করা হত বলে অভিযোগ রয়েছে। অনলাইনে ওই মহিলার ছবি আপলোড করে নিলামে তোলা হত। এই কাজ করার জন্য ওই মহিলাদের অনুমতিও নেওয়া হত না। শুধু তাই নয়, ছবির পাশাপাশি অ্যাপে মহিলাদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য থাকত।

দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক অমকরেশ্বর ঠাকুরের গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, বছর ২৬-এর মেধাবী অমকরেশ্বর ইন্দোরের আইপিএস অ্যাকাডেমি থেকে বিসিএ ডিগ্রি সম্পূর্ণ করে। এখন আইনত নিউইয়র্ক সিটি টাউনশিপের বাসিন্দা। সে-ই গিটহাব (GitHub) নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে সুল্লি ডিলস চালাত।

২০২০ সালে ‘ট্রেড মহাসভা’ নামের একটি অনলাইন গ্রুপে ঠিক হয় যে, মুসলিম মহিলাদের হেনস্তা করা হবে। তার জন্য টুইটারের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াকেও ব্যবহার করা হত। সেই গ্রুপে ছিল অমকরেশ্বরও। সম্প্রতি বুল্লি বাই নিয়ে হইচই শুরু হতেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেয় অমকরেশ্বর। যদিও শেষ রক্ষা হল না।

এদিকে ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপের নির্মাতা নীরজ বিষ্ণোইকে জেরা করে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধর্মীয় গোঁড়ামির জেরেই সে দিগভ্রষ্ট হয়েছে। প্রশ্নোত্তর ওয়েবসাইট ‘কোরা’-তে বিভিন্ন সময়ে সে তার নানা বক্তব্য লিখেছে। তাতে ধর্মান্ধতার দিকটিই প্রকট হচ্ছে।

ধৃত অমকরেশ্বর ঠাকুর
Bulli Bai App: 'সঠিক কাজ করেছি' - মুসলিম মহিলাদের নিলামে তোলার অ্যাপ নির্মাতার নেই কোনও অনুশোচনা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in