
গঙ্গায় কমছে জলস্তর। চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO)। পাশাপাশি ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি। শুধু ভারত নয় বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশের ওপরই গবেষণা চালিয়ে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি WMO-র তরফ থেকে ‘স্টেট অফ গ্লোবাল ওয়াটার রিসোর্সেস ২০২১’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থার সদর দপ্তর জেনেভা থেকে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়। রিপোর্টে নদী প্রবাহ, বন্যা, খরার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাদুজলের মাত্রা ও বরফ গলনের দিকেও আলোকপাত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয়েছে ২০২১ সালে বিশ্বের বৃহৎ অঞ্চলজুড়ে ‘লা নিনা’-র প্রভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়া লক্ষ্য করা গেছে। তাছাড়া বর্তমানে বছরে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ প্রায় ১ মাসের জন্য পর্যাপ্ত জল পায় না মাত্রাতিরিক্ত জলের ব্যবহারের জন্য। ২০৫০ সালের মধ্যে যার ভুক্তভোগী হতে পারেন ৫ বিলিয়ন মানুষ। যা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে গবেষকরা।
রিপোর্টানুযায়ী, বিগত ২০ বছরে ভারতের গঙ্গা, আমেরিকার সাও ফ্রানসিস্কো নদী, সিন্ধু নদের তীরবর্তী অঞ্চলে মাটির নীচের জলের পরিমাণ কমেছে। যা খুব একটা ভালো লক্ষণ নয়। অন্যদিকে আমাজন নদী অববাহিকা অঞ্চলের মাটির নীচের জলের পরিমাণ বেড়েছে।
WMO-র সেক্রেটরি জেনেরাল পেত্তেরি তালাস বলেন, 'জলের মাধ্যমেই জলবায়ু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। মূলত ঘন ঘন খরা, বন্যা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং হিমবাহের অনবরত গলন সবই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই হয়'।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন