Sitrang: দিঘাতে জলোচ্ছ্বাস শুরু, আগামী ১২ ঘন্টায় শক্তি বাড়িয়ে আরও ভয়ঙ্কর হবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

Indian Meteorological Department সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাগর থেকে ৪৩০ কিমি দূরে অবস্থান করছে সিত্রাং। বাংলাদেশের বরিশাল থেকে ৫৮০ কিমি দূরে রয়েছে।
ঘন মেঘে ঢেকে আছে আকাশ
ঘন মেঘে ঢেকে আছে আকাশছবি আকাশ নেয়ে
Published on

আরও শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। যত সময় যাচ্ছে তত ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে বঙ্গোপসাগর। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

Indian Meteorological Department সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাগর থেকে ৪৩০ কিমি দূরে অবস্থান করছে সিত্রাং। বাংলাদেশের বরিশাল থেকে ৫৮০ কিমি দূরে রয়েছে। পরবর্তী ১২ ঘন্টার মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সিত্রাং। ২৫ অক্টোবর ভোরবেলা বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের। বাংলাদেশের তিনকোনা দ্বীপে আছড়ে পড়লেও ঘূর্ণাবর্তের যে লেজ থাকে তার প্রভাব রাজ্যেও কিছুটা হলেও পড়বে।

রবিবার থেকেই দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাত বাড়তেই বৃষ্টির পরিমাণও বাড়তে থাকে। সোমবার সকালে পরস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত এলাকা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। আগামীকালও এমন মেঘলা আকাশ থাকবে। সোমবার সকাল থেকেই হাওড়া, হুগলী, মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে ৪৫-৫৫ কিমি বেগে বইছে। দিঘা-মন্দারমণিতে শুরু হয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। যে কারণে পর্যটকদের আজ ও কাল সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।

সিত্রাং-র জন্য আতঙ্কে রয়েছেন হিঙ্গলগঞ্জ, সাগর, ফ্রেজারগঞ্জের মানুষেরা। বাংলাদেশে ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ওই অঞ্চলের মানুষেরা বহু ঘূর্ণিঝড়ের সাক্ষী থেকেছেন। তাঁরা জানেন একটা ঝড়েই সবকিছু হারাতে পারেন। প্রশাসনও সেই দিকে নজর রেখে সকলকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের জন্য খোলা হয়েছে ফ্লাড সেন্টার। প্রস্তুত রাখা হয়েছে NDRF ও SDRF-র টিম। নবান্নের পাশাপাশি জেলায় জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।

ঘন মেঘে ঢেকে আছে আকাশ
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলির তালিকায় প্রথম দিল্লি, দ্বিতীয় কলকাতা - HEI SoGA রিপোর্ট

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in