

পৃথিবীর মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে শিশুদের জন্য কোভিড টিকাকরণ শুরু করলো কিউবা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। দেশে তৈরি ‘আবদালা’ ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ এদের দেওয়া হবে। জিং হুয়া সংবাদ সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে। যদিও এই ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পায়নি।
কিউবা জুড়ে ৭০০ স্কুলে টিকাকরণ কেন্দ্র করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রতিটি ছাত্রকে টিকা দেওয়া শেষ হয় ততক্ষণ পর্যন্ত স্কুলে ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
কিউবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোস অ্যাঞ্জেল পোর্টাল জানিয়েছেন, গত মার্চ ২০২০তে মহামারীর শুরুর সময় থেকে ১,১৫,০০০-এর বেশি ছাত্র ছাত্রী সংক্রমিত হয়েছে। আমাদের দেশের বাচ্চাদের রক্ষা করতে এই টিকাকরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত পারা যায় এই কর্মসূচি শেষ করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, টিকা আমদানি না করে দেশেই টিকা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে কিউবা।
কিউবার টিকা ‘আবদালা’-র নামকরণ করা হয়েছে জোসে মারতির এক কবিতার নামে। এই টিকা দু সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া হয়। এছাড়াও ‘সোবেরানা’ দেওয়া হয় চার সপ্তাহের ব্যবধানে।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, গত জুলাই মাসে ‘আবদালা’-কে জরুরি অবস্থায় প্রয়োগের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এই ছাড়পত্র মেলার পর ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলোর মধ্যে কিউবা প্রথম সফল দেশ হিসেবে কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কারক দেশের তালিকায় স্থান পায়। জানা গেছে, আবদালা এবং সোবেরানার তৃতীয় দফার ট্রায়ালের শেষে ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিউবাকে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তথ্য কোনো সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশ করার করার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে মত প্রকাশ করতে পারেন।
এখনও পর্যন্ত বহু দেশেই ১২ বছরের বেশী বয়সীদের টিকা দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও চীন, আরব আমীরশাহী এবং ভেনেজুয়েলা শিশুদের টিকাকরণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। তবে কিউবাতেই এই কাজ প্রথম শুরু হল। গত সোমবার চীন নিজেদের তৈরি ‘সিনোভাক’ ভ্যাকসিনকে ছয় থেকে বারো বছর বয়সী শিশুদের দেবার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত কিউবায় ৬ লাখের বেশি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এবং ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
(Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন