বিজেপির প্রতি পক্ষপাতিত্ব, ফেসবুক এখন 'Fakebook' - যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি কংগ্রেসের

সোমবার সংবাদিক সম্মেলনে দলের মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, “এটি ফেকবুক ( ভুয়ো বই ) হয়ে গেছে এবং অবিলম্বে এই বিষয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত হওয়া উচিৎ”।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

বিজেপির প্রতি ফেসবুকের ‘পক্ষপাতিত্ব’-র অভিযোগ তুলে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি জানালো কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিকে “ফেক বুকে” পরিণত হয়েছে। সোমবার সংবাদিক সম্মেলনে দলের মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, “এটি ফেকবুক ( ভুয়ো বই ) হয়ে গেছে এবং অবিলম্বে এই বিষয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত হওয়া উচিৎ”।

তিনি আরও বলেন, “সবকিছু জানা সত্ত্বেও, নিজেদের আভ্যন্তরীণ রিপোর্ট থাকা স্বত্বেও ফেসবুক কেন আরএসএস এবং বজরং দলকে বিপজ্জনক সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করেনি? সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তা ভেবে ভারত সরকার টুইটারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সরব। কিন্তু তারা ফেসবুকের বিরুদ্ধে একটি শব্দও বলছে না কেন?”

তাঁর আরও অভিযোগ, “ এটা প্রমাণিত যে, ‘ফেকবুক’ এখন শাসকের ধর্মান্ধতা, ঘৃণা এবং ভয় প্রচার করার একটা হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ফেসবুক ভারতীয়দের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তারা তাদের ভুল তথ্যরোধের বাজেটের ৮৭ শতাংশ ব্যয় করে ইংরাজি ভাষার কন্টেন্টের জন্য। অথচ যা তাঁদের মোট ব্যবহারকারীর মাত্র ৯ শতাংশ”।

কংগ্রেস মুখপাত্রের আরও অভিযোগ, - “এই প্রথম নয় যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক-এর মুখোশ খুলেছে। তারা বরাবরই পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিজেপির সঙ্গে তাদের আঁতাত আগেও ধরা পড়েছে”।

প্রসঙ্গত, ভারত হল ফেসবুকের বৃহত্তম বাজার। প্রায় ৩৭০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে তাদের। অথচ দেখা যাচ্ছে মোট ০.২ ঘৃণাসূচক পোস্ট ডিলিট করতে সক্ষম হয়েছে ফেসবুক। ভারতে তার ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন করেছিল, সেই রিপোর্ট থেকেই এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ছবি - প্রতীকী
ফেসবুকের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক পোস্ট প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ প্রাক্তন কর্মীর, কাঠগড়ায় RSS

এর আগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক পোস্টে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন এক প্রাক্তন কর্মী। মার্কিন সেনেটের সামনে এমনই অভিযোগ তুলেছেন ফেসবুকের প্রাক্তন কর্মী ফ্রান্সিস হাউজেন। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে যে, ফেসবুকে সবথেকে বেশি অশান্তি, ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনের উস্কানিমূলক বার্তা ছড়িয়েছে হিন্দি এবং বাংলা ভাষায়।

২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত ফেসবুকের ডেটা অ্যানালিস্ট ছিলেন হাউজেন। ইস্তফা দিয়ে তিনি গোপন রিপোর্ট পাঠান মার্কিন সরকারের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগে। রিপোর্টে বলা হয়, বহু প্ররোচনামূলক হেট স্পিচ অথবা অশান্তিমূলক পোস্ট নিয়ে এই সোশ্যাল মিডিয়া কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কারণ ভারতে তাদের ব্যবসা মার খাবে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in