Climate Change: ২১০০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ গলে যেতে পারে দুই তৃতীয়াংশ হিমবাহ

কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির সমীক্ষা অনুসারে, রাউন্স ও তার সমীক্ষক দলের গবেষণা থেকে জানা গেছে, জীবাশ্ম জ্বালানী ক্রমাগত ব্যবহারের কারণে আগামী দিনে হিমবাহের ৪০ শতাংশেরও বেশি এই শতাব্দীর মধ্যে গলে যাবে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি সৌজন্য নাসা ক্লাইমেট চেঞ্জ
Published on

আগামী ৮০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর তিনটি হিমবাহের মধ্যে দুটি সম্পূর্ণ গলে যাবে। একথা জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির সিভিল এবং এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সহকারী অধ্যাপক ডেভিড রাউন্স-এর অধীনস্থ এক সমীক্ষক দল। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে শতাব্দী ধরে হিমবাহের ক্ষয় সংক্রান্ত বিষয়ে এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষক দলের তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষা অনুসারে, রাউন্স এবং তার সমীক্ষক দলের গবেষণা থেকে জানা গেছে, জীবাশ্ম জ্বালানী ক্রমাগত ব্যবহারের কারণে আগামী দিনে হিমবাহের ৪০ শতাংশেরও বেশি এই শতাব্দীর মধ্যে গলে যাবে এবং সংখ্যা অনুসারে ৮০ শতাংশেরও বেশি হিমবাহ সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হতে পারে।

এই হিমবাহগুলি সাধারণত হিমবাহের মান অনুসারে ছোট (এক কিলোমিটারের কম), কিন্তু তাদের ক্ষয়ের কারণে স্থানীয় এলাকার জলবিদ্যা, পর্যটন, হিমবাহের বিপদ এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মধ্য ইউরোপ, পশ্চিম কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ছোট হিমবাহ অঞ্চলের হিমবাহগুলি প্রভাবিত হবে এবং তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে এই অঞ্চলের হিমবাহগুলি প্রায় সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে ওই গবেষণায় জানানো হয়েছে।

রাউন্স উল্লেখ করেছেন, হিমবাহগুলি যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া জানায় তা দীর্ঘ সময় নেয়। তিনি হিমবাহকে অত্যন্ত ধীর গতির নদী হিসেবে বর্ণনা করেন।

ওই গবেষণায় আরও জানানো হয়েছে, বর্তমান সময়ে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমনে যদি কোনো পরিবর্তন ঘটে তাও পূর্বে নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাসকে তা নির্মূল করবে না, বা জলবায়ু পরিবর্তনে এর প্রভাব বন্ধ হবেনা। তাই আজ যদি গ্যাস নির্গমন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তবুও হিমবাহের ক্ষয় বন্ধ হতে ৩০ থেকে ১০০ বছরের পর্যন্ত সময় লাগবে বলে অনুমান করা যেতে পারে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in