Climate Change: অস্ট্রেলিয়ায় বিলুপ্তির ঝুঁকিতে ১০ শতাংশেরও বেশি হাঙর প্রজাতি

অস্ট্রেলিয়ার National Environmental Science Program (NESP) হাঙর সম্পর্কে তাদের মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে অস্ট্রেলিয়ান হাঙর, রে অ্যান্ড ঘোস্ট হাঙর-এর বিলুপ্তির ঝুঁকি আছে বলে জানা গেছে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকী ছবি সৌজন্য অস্ট্রেলিয়ান জিওগ্রাফিক-এর সৌজন্যে
Published on

অস্ট্রেলিয়ার ১০ শতাংশেরও বেশি হাঙর প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মঙ্গলবার একটি সরকারি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

জিংহুয়া সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স প্রোগ্রাম (এনইএসপি) সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য কেন্দ্র হাঙর সম্পর্কে তাদের মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে অস্ট্রেলিয়ান হাঙর, রে অ্যান্ড ঘোস্ট হাঙর (চিমেইরাস)-এর বিলুপ্তির ঝুঁকি আছে বলে জানা গেছে।

অস্ট্রেলিয়ায় পৃথিবীর এক চতুর্থাংশেরও বেশি কার্টিলজিনাস মাছের বসবাস স্থল। এছাড়াও ১৮২ টি হাঙরের প্রজাতি, ১৩২ টি রে প্রজাতি এবং ১৪ টি চিমেইরাস প্রজাতি। এর মধ্যে ১২ শতাংশ বা ২৯ টি প্রজাতি বিলুপ্তির মুখোমুখি। চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটির (সিডিইউ) একজন প্রবীণ গবেষক এবং প্রতিবেদনের প্রধান লেখক পিটার কেন–এর মতে, এই বিলুপ্তি আটকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, “যদিও অস্ট্রেলিয়ার ঝুঁকি বিশ্বের (৩৭ শতাংশ) অন্যান্য দেশের তুলনায় কম, তবুও এই ৩৯ টি প্রজাতির বিলুপ্তির ঝুঁকিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিৎ”।

তাঁর মতে - “অস্ট্রেলিয়া জুড়ে অনেক হাঙর এবং রে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ না হওয়ার কারণে আমাদের চিন্তাভাবনার বাইরে থাকে। কিন্তু তাদের জাতীয়, রাজ্য এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সুরক্ষা প্রয়োজন”।

তিনি আরও বলেন – “হোয়াইট শার্ক এবং গ্রে নার্স হাঙরের মতো কিছু প্রজাতির সুরক্ষা ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক সাড়া মিলছে। যদিও এই প্রজাতিগুলি এখনও বিলুপ্তির ঝুঁকিতেই আছে”।

অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স, জেমস কুক ইউনিভার্সিটি এবং কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিএসআইআরও) গবেষকরাও এই ৪৪২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। অস্ট্রেলিয়ার জলরাশিতে বসবাসকারী অন্যান্য ৪৫ টি প্রজাতি বিশ্বের অন্য প্রান্তে ঝুঁকির মুখে বলেও জানা গেছে এই রিপোর্টে।

- with inputs from IANS

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in