দিল্লি হাইকোর্টে সমানতালে চলছে কেন্দ্র-হোয়াটসঅ্যাপ তর্কবিতর্ক, অনড় দুপক্ষই

গত ২৫ মে কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় হোয়াটসঅ্যাপ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের মতামত আদালতে পেশ করেছে।
দিল্লি হাইকোর্টে সমানতালে চলছে কেন্দ্র-হোয়াটসঅ্যাপ তর্কবিতর্ক, অনড় দুপক্ষই
গ্রাফিক্স- নিজস্ব

কেন্দ্র বনাম হোয়াটসঅ্যাপের দুটি মামলা দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে। দু'টি মামলাতেই কেন্দ্র ও মেসেজিং অ্যাপ নিজেদের মতামত নিয়ে যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। আপাতত দু'পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।

প্রথম মামলায় হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের প্রাইভেসি পলিসি আপডেটের কথা বলেছে। কিন্তু কেন্দ্র এই প্রাইভেসি পলিসির ঘোর বিরোধিতা করে বলেছে, মানুষের তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হবে এই পলিসিতে। পার্সোনাল ডাটা প্রোটেকশন বিল আইনে পরিণত না হওয়ার আগে হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের গ্রাহককে নিজেদের পলিসি মানতে বাধ্য করছে।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় মামলাটিতে হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করেছে, কেন্দ্রের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি নির্দেশিকায় ক্ষতিকারক বা গোপনীয়তা ভঙ্গ করে এমন মেসেজের প্রথম প্রেরকের নাম প্রকাশ্যে আনতে হবে। যা মানুষের বাক স্বাধীনতার জন্য বিপজ্জনক। সুতরাং অবিলম্বে, কেন্দ্রের এই নতুন নিয়ম প্রত্যাহারের দাবিও করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে।

কিন্তু, কেন্দ্রের দাবি, প্রথম বার্তা প্রেরকের খোঁজ পেয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা গোপনীয়তা রক্ষার মত মৌলিক অধিকারের সংশ্লিষ্ট কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে। দিল্লি হাইকোর্টে আপাতত এই দুটি মামলা নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক চলছে সমানতালে।

গত ২৫ মে কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় হোয়াটসঅ্যাপ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের মতামত আদালতে পেশ করেছে। সংবাদমাধ্যমের সামনে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভুয়ো খবর আটকাতেই এই নিয়ম আনা বাধ্যতামূলক ছিল।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in