
চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের আগে তিরুপতির মন্দিরে পুজো দিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করে আরও একবার ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো। তার আগে এই অভিযানের সাফল্য কামনা করে বৃহস্পতিবার সকালে তিরুপতির ভেঙ্কটচলাপতি মন্দিরে পুজো দিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
এদিন চন্দ্রযান-৩ এর একটি খুদে মডেল তৈরি করে সেটিরও পুজো করেন বিজ্ঞানীদের একটি দল। অতীতেও প্রায় প্রত্যেকটি মহাকাশ অভিযান আগেই ইসরোর বিজ্ঞানীরা এভাবেই অভিযানের সাফল্য কামনা করে তিরুপতির মন্দিরে ঈশ্বরের আরাধনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে দুপুর ২.৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হবে। চন্দ্রযান-২ এর মতো এবারও চাঁদের অন্ধকার দিকে মসৃণ অবতরণ করে রোভারের সাহায্যে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করাই মূল লক্ষ্য। ইসরোর বিজ্ঞানীরা যদি এবারে তাদের এই লক্ষ্যে সফল হন তাহলে আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর চাঁদে মসৃণ অবতরণের নিরিখে ভারত সেই তালিকায় বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে।
২০১৯ সালেও ভারত চন্দ্রযান-২ অভিযানের মাধ্যমে সেই চেষ্টাই করেছিল। কিন্তু সেবার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার আগেই ভেঙে পড়ে ইসরোর মহাকাশযানটি। সেই জন্য এবারে ইসরোর বিজ্ঞানীরা ল্যান্ডারের ডিজাইনে বেশ কিছু বদল করেছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের পরে ২০১৯ সালেই ইজরায়েলের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। তারপর ২০২২ সালে ল্যান্ডার-রোভার নিয়ে জাপানের মহাকাশযান এবং শুধুমাত্র একটি রোভার নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মহাকাশযানও চাঁদের মাটিতে মসৃণভাবে নামতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণের তালিকায় চতুর্থ স্থানটি শূন্যই রয়ে গিয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন