

ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোচা। মায়ানমার উপকূলে ঘন্টায় ১৬০-১৬৫ কিমি বেগে আছড়ে পড়বে মোচা। এর ফলে শনিবার বিকেল থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোচার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে সরাসরি কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, মোচার ফলে শনিবার বিকেলের পর থকেই কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টি শুরু হবে। রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। সাথে বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনাও রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জন্যও একই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
সোমবারেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে পরিমাণ ধীরে ধীরে কমবে। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। জারি থাকবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার ফলে সরাসরি বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে প্রভাব পড়বে না। পশ্চিমবঙ্গে কোনো সতর্কতা নেই। তবে ১২-১৪ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মোচা মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা আরও জানিয়েছেন, মায়ানমারের সিত্তে বন্দর থেকে ৬৯০ কিমি দূরে অবস্থান করছে মোচা। বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে দূরত্ব ৭৬০ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে আরও জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করতে করতে এগিয়ে চলেছে মোকা। রবিবার বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে ল্যান্ডফল হবে মোচার।
মায়ানমারে সরাসরি প্রভাব পড়লেও বাংলাদেশের বহু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার, মহেশখালি, সেন্ট মার্টিন, চট্টগ্রামের জন্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন