Antarctica: ৪১ তম বৈজ্ঞানিক অভিযানে অ্যান্টার্কটিকায় ৪৮ সদস্যের ভারতীয় দল

৪১ তম বৈজ্ঞানিক অভিযানের অংশ হিসেবে ২৩ জন বিজ্ঞানী এবং সহায়তা কর্মীদের প্রথম ব্যাচ গত সপ্তাহে অ্যান্টার্কটিকায় সাদার্ণ হোয়াইট কন্টিনেন্ট-এর ভারতীয় অ্যান্টার্কটিক স্টেশন মৈত্রীতে পৌঁছেছে।
অ্যান্টার্কটিকায় মৈত্রী স্টেশন
অ্যান্টার্কটিকায় মৈত্রী স্টেশনফাইল ছবি - দ্য অ্যান্টার্কটিক রিপোর্ট ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে

ভারতী স্টেশনে আমেরি বরফের স্তরে ভূতাত্ত্বিক অনুসন্ধান এবং মৈত্রীর কাছে ৫০০ মিটার বরফ খনন ও সমীক্ষার প্রস্তুতিমূলক কাজই হবে ভারতের ৪১তম অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের দুই প্রধান কর্মসূচি।

৪১ তম বৈজ্ঞানিক অভিযানের অংশ হিসেবে ২৩ জন বিজ্ঞানী এবং সহায়তা কর্মীদের প্রথম ব্যাচ গত সপ্তাহে অ্যান্টার্কটিকায় সাদার্ণ হোয়াইট কন্টিনেন্ট-এর ভারতীয় অ্যান্টার্কটিক স্টেশন মৈত্রীতে পৌঁছেছে। সোমবার ভূ বিজ্ঞান মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

২০২২ সালের জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি আরও চারটি ব্যাচ আকাশপথে DROMLAN প্রযুক্তি এবং চার্টার্ড বরফ-শ্রেণীর জাহাজ MV Vasiliy Golovnin ব্যবহার করে অ্যান্টার্কটিকায় অবতরণ করবে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এই অভিযানের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে ভারতী স্টেশনে আমেরি বরফের স্তরে ভূতাত্ত্বিক অনুসন্ধান চালাবে। অতীতে ভারত এবং অ্যান্টার্কটিকার মধ্যে সংযোগ খুঁজতে সাহায্য করবে৷ দ্বিতীয় কর্মসূচীতে মৈত্রীর কাছে ৫০০ মিটার বরফ খনন করে সমীক্ষা চালাবে। অ্যান্টার্কটিক জলবায়ুর গত ১০ হাজার বছরের একক জলবায়ু সংরক্ষণাগার থেকে, পশ্চিমী বায়ু, সমুদ্র-বরফ এবং গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির প্রভাব বুঝতে সহায়তা করবে।

ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে এবং নরওয়েজিয়ান পোলার ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় আইস কোর ড্রিলিং করা হবে৷ বৈজ্ঞানিক কর্মসূচিগুলি সম্পাদন করার পাশাপাশি মৈত্রী এবং ভারতী স্টেশনে বাৎসরিক খাদ্য, জ্বালানি, সহ লাইফ সাপোর্টের অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত জিনিসপত্র সরবরাহ করবে।"

১৯৮১ সালে শুরু হওয়া ভারতীয় অ্যান্টার্কটিক প্রোগ্রাম এখনও পর্যন্ত ৪০টি বৈজ্ঞানিক অভিযান সম্পন্ন করেছে এবং অ্যান্টার্কটিকায় তিনটি স্থায়ী গবেষণা বেস স্টেশন তৈরি করেছে। এগুলি হল দক্ষিণ গঙ্গোত্রী (১৯৮৩), মৈত্রী (১৯৮৮) এবং ভারতী (২০১২)।

এখনও পর্যন্ত মৈত্রী এবং ভারতী সম্পূর্ণরূপে চালু আছে। গোয়ায় ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ (এনসিপিওআর) আর্থ সায়েন্স মন্ত্রকের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং সমগ্র ভারতীয় অ্যান্টার্কটিক প্রোগ্রাম পরিচালনা করে।

মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড স্কিইং ইনস্টিটিউট, ITBP আউলি, উত্তরাখণ্ড-এ তুষার-বরফের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং থাকার প্রশিক্ষণের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন সহ কঠোর স্যানিটারি প্রোটোকল মেনে ভারতীয় দল অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছেছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৪৮ সদস্যের এই দল পুরো শীতকাল কাটিয়ে ২০২২-এর মার্চের শেষ অথবা এপ্রিলের প্রথমে কেপটাউনে ফিরবে বলে অনুমান। এই দলের সঙ্গেই ৪০ তম অভিযানের শীতকালীন দলও ফিরে আসবে। ৪১তম অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজ্ঞানী, ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ (ভয়েজ লিডার), ডঃ শৈলেন্দ্র সাইনি; মেট্রোলজিস্ট, ইন্ডিয়া মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (লিডার, মৈত্রী স্টেশন), হুইড্রোম নাগেশ্বর সিং এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ জিওম্যাগনেটিজম-এর বিজ্ঞানী (লিডার, ভারতী স্টেশন) অনুপ কালাইল সোমান।

- with IANS Inputs

অ্যান্টার্কটিকায় মৈত্রী স্টেশন
Climate Change: ২০০৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১৪% প্রবাল নষ্ট হয়ে গেছে: রিপোর্ট

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in