

গোটা দেশ জুড়ে তীব্র জল সংকটে ভুগছে মানুষ। এই কঠিন পরিস্থিতিতে যারা জল পান করছেন তারাও আক্রান্ত হচ্ছে দূষণে। ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, পর্যাপ্ত পরিমাণে টীকা ও ঔষধ থাকা সত্ত্বেও ভারতবর্ষে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ জন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে জল বাহিত রোগের কারণে। যেখানে দৈনিক প্রায় ৩৬,০০০ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে একই সমস্যায়।
২০১৮ সালে কলেরা, ডাইরিয়া, টাইফয়েড ও হেপাটাইটিস এই চারটি প্রধান জল বাহিত রোগের কারণে প্রানহানি হয়েছে প্রায় ২৪৩৯ জনের। যেখানে শুধু মাত্র হেপাটাইটিসে মারা গেছে প্রায় ৫৮৪ জন। আর এই জল দূষণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ বছর বয়সের নীচের শিশুরা। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ হেল্থ অর্গানাইজেশন (সিবিএইচআই) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী ২০১৮ সালে ২৪৩৯ জনের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ১৪৫০ জন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে।
এই সমস্ত রোগের প্রধান কারণ হিসেবে জলদূষণকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল পলিউশান কন্ট্রোল বোর্ডের (সিপিসিবি) মতে ভারতবর্ষের মোট ৬২০ টি জেলার ৫০ শতাংশ মানুষ ভূগর্ভস্থ জলকে দূষিত করছে। যেখানে, ভারতের জলসম্পদ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে ভারতবর্ষের প্রায় ৫৬ শতাংশ মানুষ ভূগর্ভস্থ জলের উপর পুরোপুরি ভাবে নির্ভরশীল। দূষণের কারণে জলে আর্সেনিক ও ফ্লোরাইডের মতো বিষাক্ত উপাদানের পরিমাণ বাড়ছে। ফলস্বরূপ আক্রান্ত হচ্ছে গোটা দেশ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন