

তিনি এলিসা কার্জন। মাত্র ১৮ বছর বয়সী এই তরুণী প্রথম মানুষ হিসেবে ২০৩৩ সালে মঙ্গলে পা দিতে চলেছেন। পৌঁছালে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনাই নেই, তা জেনেও লালগ্রহে পা রাখতে বদ্ধ পরিকর এলিসা।
ছোটোবেলা থেকে সিঙ্গেল প্যারেন্ট বাবার কাছেই মানুষ এই সর্বকনিষ্ঠ নাসার সদস্য। বাবার হাত ধরেই তার নভোচারী হওয়ার স্বপ্ন। তাই মঙ্গল অভিযানের জন্য প্রস্তুত তিনি। নাসা কর্তৃক সমস্ত নথিপত্র তার বাবার সম্মতিতেই পূরণ করে ফেলেছেন তিনি।
২০৩৩ সালে যখন লালগ্রহের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন এলিসা, তখন তার বয়স হবে ৩২। প্রায় ১৪ বছর ধরে এ বিষয়ে নাসা কর্তৃক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তাকে। ইতিমধ্যেই ছোট্ট এলিসা মহাকাশে কিভাবে টিকে থাকতে হয় শিখে নিয়েছে। মহাকাশে শূন্যস্থানে থাকার পদ্ধতি, ভারহীন স্থানে থাকার পদ্ধতি, রোবোটিকস্ বিষয়ে দক্ষতা সবই আস্তে আস্তে শিখছেন তিনি।
এলিসার বাবা জানান, "এই সিদ্ধান্ত একজন পিতা মাতা হিসেবে নেওয়া সহজ নয়। কিন্তু একইভাবে তার আবেগ, তার স্বপ্ন বিফলে যাক এটা চাইনা। বু্ঝতে পেরেছি যে মানবজাতির পক্ষে এই শিশুর পদক্ষেপটি কতো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাকে যেতে দেওয়াই ভালো হবে।"
মার্টিন গবেষক এলেন মাস্ক ২০১৬ সালে জানায়," এটি খুব বিপজ্জনক এবং সম্ভবত মানুষ মারা যাবে।" তবে এ বিষয়ে ভয় পাচ্ছে না এলিসা। তিনি আত্মবিশ্বাসী। বিপরীতে তিনি বলেন," আমি অনেক ঝুঁকি আছে জেনেও এই মিশনের অংশ নিতে যাচ্ছি। আমি সমস্ত বিষয়টা বুঝি। তবে অবশ্যই মনে করি যে মানুষকে মঙ্গলে পাঠানোর পর তাকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ প্রয়াস করবে নাসা।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন