বাংলায় মোদী আর অমিত শাহ্‌র একাদশে তৃণমূলের চোর-অপরাধীরাই আলো করে বসে আছে - মহম্মদ সেলিম

মহম্মদ সেলিম
মহম্মদ সেলিমফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদি ন্যূনতম জনদরদী হতেন আজ তিনি সরকারি টাকায় বাংলায় দলীয় কর্মসূচী না করে তাঁর বিশেষ বিমানে, হেলিকপ্টারে যোশীমঠে যেতেন। উত্তরাখন্ডের যোশী মঠে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ না হারানো, আহত মানুষদের পাশে থাকতেন। রবিবার হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় একথা জানিয়েছেন সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।

ওই বিবৃতিতে মহম্মদ সেলিম আরও বলেন – রাজ্যের মানুষ যখন তোলাবাজ দুর্নীতিগ্রস্ত সারদা-নারদে অভিযুক্ত তৃণমূল সরকারকে থেকে লালকার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন আরএসএস’র পরামর্শে মোদী ‘রামকার্ড’ দেখিয়ে তৃণমূলের চোর-জোচ্চোরদের নিজেদের দলে টেনে জার্সি বদল করাচ্ছেন।

সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য নিজের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছেন - দিনের পর দিন যে তৃণমূল-মাওবাদীদের যৌথবাহিনী নন্দীগ্রামে রাস্তা কেটেছে, যে তৃণমূল মাওবাদীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে হাত মিলিয়ে নন্দীগ্রামের ষড়যন্ত্রের শরিক ছিল, মোদী তাদেরই নিজেদের দলে টানছেন। নন্দীগ্রাম নিয়ে মোদীর মন্তব্য হল আত্মঘাতী গোল। মোদী ফুটবলের পরিভাষা ব্যবহার করেছেন বক্তৃতায়। বাংলায় মোদী আর অমিত শাহ্‌র একাদশে তৃণমূলের চোর-অপরাধীরাই আলো করে বসে আছে।

এদিন মহম্মদ সেলিম আরও জানান - মোদী বলেছেন, লকডাউনের সময় তাঁর সরকারের কাজের কথা, অথচ লকডাউনের সময় বামপন্থীরাই মানুষের পাশে ছিলেন। বামপন্থীরা যখন দাবি করেছেন, আয়কর না দেওয়া প্রতিটি পরিবারকে মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা অর্থ সাহায্যের কথা, প্রতি পরিবারকে মাসে দশ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা তখন মোদী সরকার কোনো দাবি না মেনে মানুষকে থালা বাজানোর আর হাততালি দেওয়ার নিদান দিয়েছেন।

বাম কংগ্রেস সমঝোতা প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের উত্তরে মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন - জন্মের সময় থেকে বিজেপি’র সঙ্গে তৃণমূলের প্রকাশ্যে বন্ধুত্ব, নির্বাচনী লড়াই, বিজেপির সঙ্গে একই মন্ত্রীসভায় থাকা। মোদীর সঙ্গেও মমতার সখ্য সুবিদিত, গুজরাট দাঙ্গার সময় মোদীকে মমতা ব্যানার্জি ফুল পাঠিয়েছিলেন যেমন, তেমনি মোদী নিজেই জানিয়েছেন প্রতিবছর নিয়ম করে তিনি মোদীকে কুর্তা, মিষ্টি পাঠান। মমতার উপহারের বিনিময়ে মোদী কী উপহার দিয়েছেন সেটা তিনি বাংলার মানুষকে স্পষ্ট করে জানান।

নরেন্দ্র মোদীর কৃষকদের সম্পর্কে মন্তব্য প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) নেতা বলেন - মোদী বাংলার কৃষকদের প্রতি সহানুভূতির কথা বলেছেন অথচ ৭৬ দিন ধরে দিল্লি সীমান্তে পুলিশি বর্বরতা, লাঠি, জলকামানের মুখে দাঁড়িয়েও কৃষকরা বসে আছেন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে। গোটা দেশের কৃষকদের সঙ্গে নির্মম ব্যবহার করছে মোদী সরকার। মোদীর মুখে কৃষি ও কৃষকের কথা শোভা পায় না, দেশের কৃষকদের জন্য বিন্দুমাত্র দরদ থাকলে উনি দিল্লির কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেন।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in