নতুন কৃষি আইন অসংবিধানিক এবং আইন বাতিলের বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পাওয়া উচিত কৃষকদের। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দুষ্মন্ত দাভে। তাঁর মতে, বিলগুলো স্থগিত না করে সুপ্রিম কোর্টের উচিত ছিল সেগুলোকে অসংবিধানিক ঘোষণা করা।
আউটলুক পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট এই আইনজীবী বলেছেন, ১৮ মাসের জন্য আইন প্রয়োগ স্থগিত করার সরকারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন কৃষকরা। আইন বাতিল নিয়ে সরকারের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি চান কৃষকরা। সরকার যদি এই বিষয়ে কোনো আগ্রহ না দেখায়, তাহলে কৃষকরা আর সরকারের সাথে আলোচনায় বসতেও আগ্রহী হবেন না।
সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক আইন প্রয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি এবং আইন পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন দুষ্যন্ত দাভে। এই বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সরকার অত্যন্ত সন্দেহজনক উপায়ে তড়িঘড়ি করে সংসদের উভয় কক্ষে বিলগুলো পাশ করেছিল। সেই হিসেবে এই আইনগুলো অবশ্যই অসাংবিধানিক এবং সুপ্রিম কোর্টের উচিত ছিল মামলার শুনানিতে আইনগুলিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা। এই আইন কৃষকদের জীবন ও জীবিকার ওপর কঠোর প্রভাব ফেলবে। কৃষকরা তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কয়েকটি দাবি করেছিলেন। সরকারের উচিত ছিল সেই দাবিগুলো খতিয়ে দেখা, কারণ সরকারও জানে মহামারী পরিস্থিতিতে অত্যন্ত তাড়াহুড়ো করে এই আইন পাশ করানো হয়েছে। লোকসভা ও রাজ্যসভায় মাত্র দু'দিন এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আইন তৈরি করার এটা সঠিক পদ্ধতি নয়, যার ওপর দেশের সম্পূর্ণ কৃষিক্ষেত্রের কাঠামো নির্ভর করছে।
এই আইন দেশের কৃষিক্ষেত্রের কাঠামো কতটা পরিবর্তন করবে সেই বিষয়ে আইনজীবীর মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশিরভাগ রাজ্যেই এগ্রিকালচার প্রডিউস মার্কেট কমিটি (এপিএমসি) আছে এবং কৃষকদের জন্য এই বাজার অত্যন্ত আরামদায়ক। এখানে কৃষকরা দর কষাকষি করতে পারেন এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি পান তাঁরা। এই এমএসপি এঁদের লাইফলাইন। এই সরকার তাঁদের কাছ থেকে এটাই কেড়ে নিতে চাইছে। এই আইনের ফলে বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হবে কৃষকদের। এটাই কৃষকদের ভয়ের কারণ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।