Lok Sabha Polls 24: খরা কাটিয়ে লোকসভায় বামপন্থীদের পাঠাতে চলেছে বিহার, ঝাড়খণ্ড? 

People's Reporter: এবার বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে একাধিক কমিউনিস্ট সাংসদের লোকসভায় যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সংসদীয় রাজনীতিতে সক্রিয় দেশের তিন বড় কমিউনিস্ট পার্টিরই লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব থাকতে পারে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীগ্রাফিক্স - আকাশ

পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরার মতো বামপন্থীদের সাবেক ঘাঁটিতে গত কয়েক বছর ধরেই কমিউনিস্টরা লাগাতার নির্বাচনী বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও এই দুই রাজ্যে তাঁদের ফলাফল কতখানি আশাপ্রদ হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ আসনে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল প্রতিপক্ষ হিসাবে নির্বাচনী ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু তার বাইরে জেতার মতো আসন কি পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় আছে? অতি বড় বামপন্থী সমর্থকের পক্ষেও আশাবাদী হওয়া মুশকিল। অবশ্য হিন্দি বলয়ের ছবিটা খানিকটা অন্য রকম। বহু বছর পর বিহার এবং ঝাড়খণ্ড থেকে একাধিক কমিউনিস্ট সাংসদের লোকসভায় যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এই বছর। সংসদীয় রাজনীতিতে সক্রিয় দেশের তিনটি বড় কমিউনিস্ট পার্টিরই লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব থাকতে পারে এই দুই রাজ্য থেকে।

২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছিলেন কমিউনিস্টরা। মাত্র ২৯টি আসনে লড়াই করে তাঁর জিতেছিলেন ১৬টি আসন। সিপিআইএমএল লিবারেশন একাই জিতেছিল ১২টি আসন। সিপিআই এবং সিপিআইএম জিতেছিল ২টি করে আসন। মহাজোটের মধ্যে স্ট্রাইক রেট সবচেয়ে ভালো ছিল কমিউনিস্টদের। কংগ্রেস অনেক বেশি আসনে (৭০টি) লড়েও জিতেছিল মাত্র ১৯টি আসন। 

বহু বছর পর বিহার এবং ঝাড়খণ্ড থেকে একাধিক কমিউনিস্ট সাংসদের লোকসভায় যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এই বছর। সংসদীয় রাজনীতিতে সক্রিয় দেশের তিনটি বড় কমিউনিস্ট পার্টিরই লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব থাকতে পারে এই দুই রাজ্য থেকে।

বিধানসভা নির্বাচনের পরে ৪ বছর কেটে গিয়েছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক শিবির বদল করে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। অন্যদিকে একজন বামপন্থী বিধায়কও শিবির বদল করেননি। বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে তাঁরা নিজেদের বিজেপির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য এবং জোরালো কণ্ঠস্বর হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন।

ভারতীয় সংসদীয় রাজনীতির দুর্ভাগ্য, জোট রাজনীতির ক্ষেত্রে সবসময় যোগ্যতার ভিত্তিতে আসন বণ্টন হয় না৷ বিহারেও তাই হয়েছে। ১৯টি আসন জেতা কংগ্রেসের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৯টি আসন৷ আর ১৬টি আসন জেতা বামপন্থীদের জন্য মাত্র ৫টি আসন! নিশ্চিতভাবেই একথা বলা যায় বামপন্থীরা অনেক বেশি আসনে লড়তে পারতেন। বিধানসভা নির্বাচনের স্ট্রাইক রেটের হিসাব মাথায় রাখলে বলা যায়, তাতে মহাজোটই লাভবান হত।

প্রত্যাশিত আসন না পেলেও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (কেরলের পর) বামপন্থীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রণক্ষেত্র হতে চলেছে বিহার। ঐতিহাসিকভাবেই হিন্দি বলয়ে লাল পতাকা শক্তিশালী নয়৷ কিন্তু বহু বছর পর একাধিক কমিউনিস্ট সাংসদ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বিহারে। সিপিআইএমএল লিবারেশন লড়ছে তিনটি আসনে- আরা, কারাকাট এবং নালন্দা। এর মধ্যে প্রথম দুটি আসনে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হলেও বামপন্থীদের পাল্লা ভারী। বিধানসভা নির্বাচনের হিসাবে তাঁরা এগিয়ে। নালন্দায় লড়াই অত্যন্ত কঠিন। ওই আসনটি জেডিইউ-এর খাসতালুক হিসাবে পরিচিত। খাগাড়িয়া আসনে লড়াই করবে সিপিআইএম৷ বেগুসরাই আসনে সিপিআই। কঠিন লড়াই৷ কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফলের বিচার অ্যাডভান্টেজ বামপন্থীরা।

আরা লোকসভা আসনে দীর্ঘদিন গ্রামীণ গরীবদের সংগঠিত করে সামন্তবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে সিপিআইএমএল। এই এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকায় একসময় দলিতরা ভোট দিতে পারতেন না। তাঁদের বুথে নিয়ে যাওয়া ছিল কমিউনিস্টদের কাছে চ্যালেঞ্জ। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন ইন্ডিয়ান পিপলস ফ্রন্টের (লিবারেশনের প্রকাশ্য গণ সংগঠন) প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন রামেশ্বর প্রসাদ। তারপর বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়েছে লিবারেশনের সংগঠন। গত লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে আরজেডি সমর্থন করেছিল সিপিআইএমএল-কে। লিবারেশনের প্রার্থী রাজু যাদব ৪,১৯,১৯৫ (৩৮.৭৯ শতাংশ) ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এই বছর আরা লোকসভা কেন্দ্রটি বামপন্থীদের জন্য অত্যন্ত সদর্থক আসন।

আগিয়াঁও বিধানসভায় ২০২০ সালের নির্বাচনে ৬১.৩৯% ভোট পেয়ে জিতেছিলেন লিবারেশন প্রার্থী মনোজ মঞ্জিল। একটি খুনের মামলায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে সম্প্রতি। লিবারেশনের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে দলিত যুব নেতা মনোজকে।

আরা লোকসভার বিভিন্ন বিধানসভায় কমিউনিস্টদের শক্ত সংগঠন। সন্দেশ বিধানসভা আসনটি তিনবার (১৯৯৫, ২০০০, ২০০৫) জিতেছে লিবারেশন। আরা বিধানসভাতেও তাদের শক্তিশালী সংগঠন আছে। আগিয়াঁও বিধানসভায় ২০২০ সালের নির্বাচনে ৬১.৩৯% ভোট পেয়ে জিতেছিলেন লিবারেশন প্রার্থী মনোজ মঞ্জিল। একটি খুনের মামলায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে সম্প্রতি। লিবারেশনের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে দলিত যুব নেতা মনোজকে। তারারি বিধানসভাও সিপিআইএমএলের দুর্গ। গত নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন সুদামা প্রসাদ। ২০১৫ সালেও তিনি জয়ী হয়েছিলেন। জগদীশপুর বিধানসভায় আইপিএফ প্রার্থী জিতেছিলেন ১৯৯০ সালে।

আরা লোকসভার মধ্যে আছে ৭টি বিধানসভা। তার মধ্যে দুটি লিবারেশনের দখলে, তিনটি আরজেডির দখলে। বিজেপির দখলে দুটি বিধানসভা। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রাখলে এই কেন্দ্রটি নিয়ে আশাবাদী হতেই পারেন বামপন্থী সমর্থকরা।

কারাকাট লোকসভা কেন্দ্রটিতেও লড়ছে লিবারেশন। এমনিতে এই কেন্দ্রটি জনতা দল ইউনাইটেডের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। কিন্তু ৪ বছর আগের বিধানসভা নির্বাচনের হিসাবে বেশ খানিকটা অ্যাডভান্টেজ আছে বামপন্থীদের। কারাকাট লোকসভার অর্ন্তগত সবকটি (৬টি) বিধানসভাতেই মহাজোটের বিধায়ক জিতেছেন শেষ বিধানসভা নির্বাচনে। ৫জন বিধায়ক আরজেডির, একজন সিপিআইএমএল লিবারেশনের। কারাকাট বিধানসভার বিধায়ক লিবারেশনের অরুণ সিং। ২০২০ ছাড়াও তিনি ২০০০ এবং ২০০৫ সালেও জয়ী হয়েছেন। এই লোকসভার ওবরা বিধানসভাটিও দুবার জিতেছে লিবারেশন।

সিপিআইএমএলের জন্য আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিহারে সবচেয়ে কঠিন লড়াই নালন্দা কেন্দ্রে৷ কারণ, জেডিইউ-এর খাসতালুক নালন্দা। ১৯৯৬ থেকে টানা (প্রথমে সমতা দলের হয়ে জর্জ ফার্নান্ডেজ) জিতছেন তাঁরা।

সিপিআইএমএলের জন্য আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিহারে সবচেয়ে কঠিন লড়াই নালন্দা কেন্দ্রে৷ কারণ, জেডিইউ-এর খাসতালুক নালন্দা। ১৯৯৬ থেকে টানা (প্রথমে সমতা দলের হয়ে জর্জ ফার্নান্ডেজ) জিতছেন তাঁরা। এমনকি ২০১৪ সালের নির্বাচনে একা লড়েও এই আসনে জিতেছিল জেডিইউ। নালন্দায় নির্বাচনী পাটিগণিতের বিচারে বামপন্থীদের শক্তি তুলনামূলকভাবে কম। ১৯৮০ এবং ১৯৮৪ সালে সিপিআই জিতেছিল এই আসনটি। তারপর থেকে কারাকাটে লাল পতাকা ওড়েনি। এই লোকসভার অর্ন্তগত হিলসা আসনটি একবার (১৯৯০) জিতেছিল লিবারেশনের প্রকাশ্য গণসংগঠন আইপিএফ। সিপিআই তিনবার (১৯৬৭, ১৯৭২, ১৯৮০) জিতেছিল বিহার শরীফ, রাজগীর জিতেছিল দুবার (১৯৭২, ১৯৯০) এবং নালন্দা তিনবার (১৯৭৭, ১৯৯০, ১৯৯৫)।

বিধানসভা নির্বাচনের ফলেও এই কেন্দ্রে এনডিএ এগিয়ে। মোট ৬টি বিধানসভার মাত্র একটি আরজেডির দখলে। ৫টি জেডিইউ এবং একটি বিজেপির দখলে। ফলে লিবারেশনের তরুণ প্রার্থী সন্দীপ সৌরভের সামনে কঠিন লড়াই।

খাগাড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে লড়বে সিপিআইএম। বিহারে শহীদ অজিত সরকারের মতো কিংবদন্তী নেতা একসময় নেতৃত্ব দিয়েছেন সিপিআইএমকে৷ এবার খাগাড়িয়ায় লড়াই বেশ কঠিন, কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফল মাথায় রাখলে সিপিআইএমকে এই কেন্দ্রে এগিয়ে রাখতেই হয়। এই কেন্দ্রে কাস্তে হাতুড়ি তারা প্রতীকে লড়ছেন সঞ্জয় কুমার কুশওয়া। 

৪ বছর আগের বিধানসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী খাগাড়িয়ায় মহাজোটের বিধায়ক চারজন। তিনজন আরজেডির, একজন কংগ্রেসের। এনডিএ-র দুজন বিধায়ক। দুজনেই জনতা দল ইউনাইটেডের। বিজেপির কোনও বিধায়ক নেই। খাগাড়িয়া লোকসভার অর্ন্তগত খাগাড়িয়া বিধানসভায় সিপিআইএমের কাজও বেশ পুরনো। ২০০০ সালের বিধানসভার ভোটে এই আসনে জিতেছিল সিপিআইএম।

বেগুসরাইকে একসময় বিহারের লেনিনগ্রাদ বলা হত। ১৯৬৭ সালে এই লোকসভা আসনে জিতেছিল সিপিআই৷ গত লোকসভা নির্বাচনে কানহাইয়া কুমারের সৌজন্যে বিপুল আলোচিত হয় বেগুসরাই।

বেগুসরাইকে একসময় বিহারের লেনিনগ্রাদ বলা হত। ১৯৬৭ সালে এই লোকসভা আসনে জিতেছিল সিপিআই৷ গত লোকসভা নির্বাচনে কানহাইয়া কুমারের সৌজন্যে বিপুল আলোচিত হয় বেগুসরাই। দল বদলে কানহাইয়া এখন কংগ্রেসে৷ তবে এই আসনটিতে মহাজোটের প্রতিনিধিত্ব করবে সিপিআই-ই। এবার এই আসনে কাস্তে ধানের শীষের প্রার্থী অবধেশ কুমারই রাই৷ 

গত লোকসভা নির্বাচনে কানহাইয়া পেয়েছিলেন ২,৬৯,৯৭৬ ভোট (২২.০৩ শতাংশ)। আলাদা লড়ে আরজেডি পেয়েছিল ১,৯৮,২৩৩ ভোট। শতাংশের বিচারে ১৬.১৭ শতাংশ। বিজেপির গিরিরাজ সিং ৫৬ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিলেন। আরজেডি এবং কংগ্রেসের মিলিত ভোটের সঙ্গেও বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ছিল বিস্তর। বিধানসভা নির্বাচনে যদিও ছবিটা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। বেগুসরাই লোকসভার ৭টি বিধানসভার মধ্যে দুটি সিপিআই-এর দখলে, দুটি আরজেডির। বিজেপি জিতেছে দুটিতে, জেডিইউ একটিতে। 

সব মিলিয়ে কোডারমার লড়াই কঠিন, তবে বিরোধী ভোট এককাট্টা হলে বামপন্থী প্রার্থীর না জেতবার কোনও কারণ নেই।

এই লোকসভায় চিরকালই সিপিআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বড় শক্তি। ২০১৪ সালে সিপিআই পেয়েছিল ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৬৩৯ ভোট, ১৭.৮৭ শতাংশ। ২০১৯ সালে সিপিআই ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮৪৩ (২২.৯৫ শতাংশ) ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়। সমস্যা হল, গিরিরাজ সিং-এর ব্যক্তিগত প্রভাব৷ সিপিআই-এর লড়াই কঠিন, তবে অসম্ভব একেবারেই নয়।

ঝাড়খণ্ডের কোডারমা আসনে ইন্ডিয়া ব্লকের প্রার্থী হিসাবে লড়ছে সিপিআইএমএল লিবারেশন। এই আসনে অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন লিবারেশনের। ২০১৪ সালে জেলবন্দি অবস্থায় লড়ে লিবারেশন প্রার্থী রাজকুমার যাদব ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৫৬ (২৬.০৩ শতাংশ) ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন। তবে ২০১৯ সালে সব হিসাব উল্টে যায়। ভোটের ঠিক আগে দীর্ঘদিনের আরজেডি নেতা অন্নপূর্ণা দেবী যাদব বিজেপিতে যোগ দিয়ে টিকিট পান। বিরাট ভোটে জয়ী হন তিনি। জেভিএম(পি) প্রার্থী বাবুলাল মারান্ডি দ্বিতীয় হন৷ এখন তিনি বিজেপিতে। লিবারেশনের ভোট কমে আসে ৬৮ হাজারে (৫.৬৪ শতাংশ)।

তবে এই নির্বাচনে লড়াই দ্বিমুখী। লিবারেশন বনাম বিজেপি। কোডারমা লোকসভার অর্ন্তগত ৬টি বিধানসভার তিনটিতে বিজেপির বিধায়ক। একটিতে নির্দল বিধায়ক, যিনি আগে ছিলেন বিজেপির নেতা। একটি কেন্দ্রে বিধায়ক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এবং বাগোদর বিধানসভায় সিপিআইএমএলের বিধায়ক। বাগোদর ছাড়াও ধানিয়াড় বিধানসভাতেও লিবারেশন খুব শক্তিশালী। ২০১৪ সালে ওই বিধানসভায় জয়ী হন লিবারেশন প্রার্থী। জামুয়া বিধানসভাতেও লিবারেশন শক্তিশালী। সব মিলিয়ে কোডারমার লড়াই কঠিন, তবে বিরোধী ভোট এককাট্টা হলে বামপন্থী প্রার্থীর না জেতবার কোনও কারণ নেই।

*অর্ক ভাদুড়ি, বিশিষ্ট সাংবাদিক। *মতামত লেখকের ব্যক্তিগত

ছবি প্রতীকী
Congress: ১০ বছরে ১৫০ লক্ষ কোটি ঋণ নিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার, এই টাকা গেল কোথায়? প্রশ্ন কংগ্রেসের
ছবি প্রতীকী
Lok Sabha Polls 24: দু’সপ্তাহের মধ্যে ৭৯ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে, জানাল কমিশন

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in