

পরিবেশকর্মী দিশা রবির প্রেপ্তারিতে সোচ্চার হয়েছে একাধিক প্রথম সারির ইংরেজি সংবাদপত্র। একযোগে নিজেদের সম্পাদকীয়তে দিল্লি পুলিশের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা কররা হয়েছে। যদিও এই সংবাদপত্রগুলো একবারের জন্যও কেন্দ্রীয় সরকার এবং দিল্লি পুলিশের নাম করে কোনও সমালোচনা করেনি নিজেদের সম্পাদকীয়তে। বরং রবির এই গ্রেপ্তারি একটি বার্তা দিতে চেয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সুইডিশ সমাজকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে করা টুলকিট শেয়ার করার জন্য বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রবি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
'টুলকিট জাস্টিস' শিরোনাম দিয়ে নিজেদের সম্পাদকীয়তে লিখেছে, দিল্লি পুলিশ নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে ব্যস্ত, আর কেন্দ্রীয় সরকার আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের কথা বলছে। এর দ্বারা কেন্দ্র একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
দ্য হিন্দু
এই গ্রেপ্তারি 'বিকৃত ও ক্ষমতার জাহির'।
ডেকান ক্রনিকল
অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের কাছে এমন ঘটনা হাস্যকর। এটা বোঝা দরকার যে, টুলকিট কখনও সন্ত্রাসবাদের হ্যান্ডবুক হতে পারেনা।
ডেকান হেরাল্ড
টুলকিট প্রতিবাদের একটি তথ্যধারক। কোনও অশুভ কিছু নয়। এই গ্রেপ্তারি ফের একবার প্রমাণ করল, সরকারের নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার ফল কি হতে পারে।
দ্য টেলিগ্রাফ
বিষয়টি হল, নির্বাচনী এলাকার রাজনৈতিক মতবিরোধীদের সম্পর্কের পরিবর্তন হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের প্রশ্ন করার ইচ্ছাকে এই শাস্তির মাধ্যমে দমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা ভারতীয় গণতন্ত্রকে নষ্ট করছে।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
দিল্লি পুলিশকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। কারণ এরকম ঘটনা ভারতের গণতন্ত্রের কী হাল, তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন