বিজেপি তৃণমূল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ক্রমাগত কালিমালিপ্ত করছে - মহম্মদ সেলিম

নির্বাচনের দিনে তারস্বরে মুখ্যমন্ত্রী আর প্রধানমন্ত্রীর চিল চিৎকার। আজ বাংলার আকাশে চিল শকুনের ডাক শোনা যাচ্ছে। আমরা এই হিংসা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ সেলিম
সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ সেলিম ফাইল ছবি নিজস্ব
Published on

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে ৪ পর্ব হয়েছে। আরও ৪ পর্ব বাকী আছে। চতুর্থ পর্বে যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন মারা গেছেন তাঁর প্রতিবাদ সংযুক্ত মোর্চা ইতিমধ্যে করেছে। নির্বাচন গণতন্ত্রের উৎসব। নির্বিঘ্নে, নিরাপদে মানুষ যাতে তাঁর মত ব্যক্ত করতে পারে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু গত কয়েক ধাপে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী মানুষের আবেগ নিয়ে খেলছেন, হিংসাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন আর কমিশন শুধু স্তোকবাক্য দিয়ে থেমে যাচ্ছেন – এই হত্যার দায়িত্ব কে নেবে? রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।

এদিন মহম্মদ সেলিম আরও বলেন - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এঁরা প্রথম থেকেই এমন ভাব দেখাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চাবিকাঠি তাঁদের হাতে। তা না হলে দিলীপ ঘোষ বলতে পারেন না আরও অনেক শীতলখুচি হবে। এখন এই রাজ্যের মানুষ যত বেশি সংযুক্ত মোর্চার প্রতি আস্থা রাখছেন, মানুষের ঢল বাড়ছে, তরুণ প্রজন্ম আকৃষ্ট হচ্ছেন ততই বিজেপি নেতাদের চার্টার্ড প্লেনে, হেলিকপ্টারে ভ্রমণ বাড়ছে। এঁরা মানুষের সমর্থন না পেয়ে পেশীর আস্ফালন করছেন। ফলে উলুখাগড়ার প্রাণ যাচ্ছে।

রাজ্যের নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন তিনি বলেন – বিজেপি তৃণমূল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ক্রমাগত কালিমালিপ্ত করছে। আগামীকাল মোর্চার পক্ষ থেকে সিইওর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। নির্বাচনের দিনে তারস্বরে মুখ্যমন্ত্রী আর প্রধানমন্ত্রীর চিল চিৎকার। আজ বাংলার আকাশে চিল শকুনের ডাক শোনা যাচ্ছে। আমরা এই হিংসা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।

রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন - দুদিক থেকেই উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। কেন এদেরকে নির্বাচনী প্রচার প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবেনা। নির্বাচন কমিশনকে আগামী কয়েক দফার নির্বাচনের জন্য আর কয়েক মাইল এগোতে হবে। আমরা গতকালের ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছি, দোষীদের শাস্তি দাবি করেছি। যে ব্যাটেলিয়ান বিজেপির উস্কানিতে গুলি চালাচ্ছেন তাঁদের অপসারণ চাইছি। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চাইছি।

তিনি আরও বলেন - ধর্মের নামে উস্কানি দিয়ে ধর্মীয় বিভাজন বাড়ানো হচ্ছে। আমরা গত এক দশক ধরে এর বিরুদ্ধে বলছি। মানুষের জীবন যন্ত্রণার কথা বলছি। এর মধ্যে সারের দাম বাড়িয়েছে। পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে, ওষুধের দাম বাড়ছে আর অন্যদিকে মানুষের আয় কমছে। কিন্তু নির্বাচনে এইসব বিষয় থেকে দূরে সরিয়ে ধর্মীয় জিগির তুলে মানুষকে আবেগমথিত করে ভোট লুঠের চেষ্টা করছে তৃণমূল বিজেপি। এই প্রচেষ্টা বাংলাকে অশান্ত করার জন্য। আমরা এর বিরোধিতা করছি।

রাজ্যের বাকী চার দফা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন - মানুষকে বলবো বাম মোর্চা সংযুক্ত মোর্চা মানুষের দাবিকে নানা রকমের তাঁর অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে উদ্ভাবনী শক্তির মধ্যে দিয়ে, নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে চাইছি। মানুষ তাতে সাড়া দিচ্ছেন। যখন গান শ্লোগানে বাংলা মুখরিত হচ্ছে তখন রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসকদল স্টেনগান মেশিনগান নিয়ে কারবার করছে। আমরা মনে করি এই নির্বাচন গোলি সে নেহি বোলি সে লড়া জায়ে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in