কেরালা বিধানসভা নির্বাচনে অ্যাডভানটেজ এলডিএফ
ফাইল ছবি, দেশাভিমানীর সৌজন্যে

কেরালা বিধানসভা নির্বাচনে অ্যাডভানটেজ এলডিএফ

যখন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গড় আয়ু, শিশুমৃত্যুর মতো সামাজিক সূচকগুলি নিয়ে আলোচনা হয় তখন আমাদের এই দুর্ভাগা দেশে কেরালাকে এক অচেনা জায়গা বলেই মনে হয়।

‘গডস ওন কান্ট্রি’—বিজ্ঞাপন দুনিয়ার অন্যতম পরিচিত ট্যাগলাইন। কেরালা বললেই যে কয়েকটি বিষয় প্রথম মনে আসে তার অন্যতম হলো কেরালা পর্যটনের তিন শব্দের এই ক্যাচি ট্যাগলাইনটি। ভগবানের সেই আপন দেশেই আগামী ৬ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচন। একদিনেই রাজ্যের ১৪০টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ত্রিমুখী-- সিপিআই(এম)’র নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এলডিএফ), কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) এবং বিজেপি’র মধ্যে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এলডিএফ জিতেছিল ৯১ টি আসনে। অন্যদিকে ইউডিএফ এবং বিজেপি পেয়েছিল যথাক্রমে ৪১ টি এবং ১টি আসন।

ঠিক কীরকম হলে ভগবানের আপন দেশ বলা যায় সে সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা নেই। তবে একদিকে নীল সমুদ্র, অন্যদিকে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ উপত্যকার কোলাজে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকদিয়ে কেরালা সত্যিই এক কল্পনার দেশ। প্রকৃতি এখানে যেন অকৃপণ হাতে তার ঝুলি থেকে সব উজাড় করে দিয়েছে। যদিও আমাদের কাছে এটা সৌভাগ্য যে, ভারতের ক্ষেত্রে প্রকৃতি একটু বেশিই দয়ালু। তাই এরকম নয়নয়ভিরাম ক্যানভাস আসমুদ্র হিমাচলে খুব একটা দুর্লভ নয়। কিন্তু যখন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গড় আয়ু, শিশুমৃত্যুর মতো সামাজিক সূচকগুলি নিয়ে আলোচনা হয় তখন আমাদের এই দুর্ভাগা দেশে কেরালাকে এক অচেনা জায়গা বলেই মনে হয়।

কেরালায় সাক্ষরতার এই অগ্রগতিতে কমিউনিস্টদের, বামপন্থীদের অবদানকে কেউ অস্বীকার করেনা। তারা সাক্ষরতার আন্দোলন, সংস্কার আন্দোলনকে গণআন্দোলনের রূপ দিয়েছিল।

শুধু সাক্ষরতার বিষয়টা উল্লেখ করলেই কিছুটা অনুধাবন করা যাবে। সামাজিক উন্নয়নের বিচারে সাক্ষরতা অবশ্যই একটা অন্যতম সূচক। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিসের ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী কেরালা দেশের মধ্যে সবচেয়ে সাক্ষর রাজ্য এবং বহুদিনই তারা এই অবস্থান ধরে রেখেছে। সেরাজ্যে সাক্ষরতার হার ৯৬.২ শতাংশ। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী যেখানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭ শতাংশ,কেরালার থেকে ১৮.৫ শতাংশ কম। কেরালায় সাক্ষরতার এই অগ্রগতিতে কমিউনিস্টদের, বামপন্থীদের অবদানকে কেউ অস্বীকার করেনা। তারা সাক্ষরতার আন্দোলন, সংস্কার আন্দোলনকে গণআন্দোলনের রূপ দিয়েছিল। আবার ১৯৫৭ সালে কমিউনিস্টদের প্রথম সরকার এবং পরবর্তীকালে বাম সরকারগুলির গৃহীত কর্মসূচি এর অগ্রগতির ভিত্তি রচনা করে।

গত পাঁচ বছরে এলডিএফ সরকারের লাইফ মিশন (আবাসন), আরড্রাম (স্বাস্থ্য), সরকারি বিদ্যালয়গুলির উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি ও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলির সোশ্যাল অডিট রিপোর্ট খুবই আশাব্যঞ্জক। এই প্রকল্পগুলি এবারের ভোটে যে তাদের বাড়তি মাইলেজ দেবে সে ব্যাপারে এলডিএফ খুবই আশাবাদী। বিশেষ করে কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবিলায় কেরালা মডেল দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। লকডাউনের সময় খাদ্য সহ বিভিন্ন ত্রাণ পরিযায়ী শ্রমিক ও জনগণের কাছে পৌঁছে দেবার ব্যাপারে সারাদেশে যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল তা প্রায় একেবারেই কেরালায় দেখা যায়নি। এমনকি কেরালায় কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে ফেরার হারও কম ছিল।

কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবিলায় কেরালা মডেল দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। লকডাউনের সময় খাদ্য সহ বিভিন্ন ত্রাণ পরিযায়ী শ্রমিক ও জনগণের কাছে পৌঁছে দেবার ব্যাপারে সারাদেশে যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল তা প্রায় একেবারেই কেরালায় দেখা যায়নি।

কেরালার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সারাদেশে একটা সাধারণ কথা প্রচলিত আছে যে, কেউই পাঁচ বছরের বেশি একটানা ক্ষমতায় থাকে না। অর্থাৎ, প্রতি নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে। নতুন দল বা জোট ক্ষমতায় আসবে। কেরালার বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে চোখ বোলালে দেখা যাবে, শুধু ব্যতিক্রম ঘটেছিল ১৯৭২ এবং ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে। ওই দুই নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ফ্রন্ট পরপর জয়ী হয়।১৯৭২ সালের আগে এবং ১৯৮০ সাল থেকে যে ৯টা নির্বাচন হয়েছে তাতে এই পরম্পরার কোনো ব্যতয় ঘটেনি। রাজ্যের শেষ নয়টি বিধানসভা নির্বাচনে এলডিএফ পাঁচবার এবং ইউডিএফ চারবার সরকার গড়েছে।

অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে,এই পাঁচ বছর অন্তর সরকার পরিবর্তন নাকি গণতন্ত্রের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। এতে নাকি কারুরই স্বৈরাচারী কিংবা একচেটিয়া হয়ে ওঠার প্রবণতা থাকে না। আবার আরেকদল মনে করেন,এর ফলে সরকারগুলি উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাকে এড়িয়ে চলে। এ বিতর্ক থাকবে। কেরালার এই ঐতিহ্য অনুযায়ী এবার ইউডিএফ'র ক্ষমতায় আসার কথা। কিন্তু গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পুরসভা এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল এইসব হিসাবকে ওলটপালট করে দিয়েছে। এলডিএফ শহর এবং গ্রাম সর্বত্র নজরকাড়া ফল করেছে ওই নির্বাচনে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ৯৪১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫৫১টি, ১৫২টি ব্লক পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০৮টি, ১৪ টি জেলা পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১ টিতে জয়ী হয়েছে এলডিএফ।অন্যদিকে শহরাঞ্চলে ৮৬ টি পুরসভা এবং ৬টি করপোরেশনে যথাক্রমে ৪০টি এবং ৫ টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এলডিএফ। ৯টি পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়। বিধানসভাওয়াড়ি বিশ্লেষণে এলডিএফ ওই নির্বাচনে ১০১ টি কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল। ইউডিএফ' র ফলতো খারাপ হয়েছে,বিজেপিও কোনো দাগ ফোটাতে পারেনি ওই নির্বাচনে। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে যে সমীক্ষাগুলি হয়েছে তার বেশিরভাগ রিপোর্টেই এলডিএফ ফের ক্ষমতায় ফিরবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।

ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ৯৪১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫৫১টি, ১৫২টি ব্লক পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০৮টি, ১৪ টি জেলা পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১ টিতে জয়ী হয়েছে এলডিএফ।অন্যদিকে শহরাঞ্চলে ৮৬ টি পুরসভা এবং ৬টি করপোরেশনে যথাক্রমে ৪০টি এবং ৫ টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এলডিএফ। ৯টি পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়। বিধানসভাওয়াড়ি বিশ্লেষণে এলডিএফ ওই নির্বাচনে ১০১ টি কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল।

এলডিএফ’র প্রধান শরিক সিপিআই(এম) লড়ছে ৮৫টি আসনে। ইতিমধ্যে তারা প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছে। এদের মধ্যে পার্টি-প্রার্থী ৭৬ এবং পার্টি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ৯।মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ১২। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দাঁড়াচ্ছেন তাঁর পুরনো কেন্দ্র কান্নুর জেলার ধরমাদমে। পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে একঝাঁক তরুণ-তরুণীকে প্রার্থী করেছিল এলডিএফ। জয়ী তাদের অনেককেই সর্বোচ্চ প্রশাসকের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনের প্রার্থীতালিকাতেও সেই ধারা বজায় রেখেছে এলডিএফ।ছাত্র ও যুব সংগঠনের ১৩ জনকে প্রার্থী করেছে সিপিআই(এম)। সিপিআই(এম) কেরালা রাজ্য কমিটি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল,পরপর দুবার নির্বাচিত যারা হয়েছেন তাদের প্রার্থী করা হবে না। সেই অনুযায়ী ৩৩ জন বর্তমান বিধায়ক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

ত্রিপুরা,পশ্চিমবঙ্গের মতো কেরালাকেও কয়েক বছর ধরে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। এই রাজ্যে সিপিআই(এম)’র সঙ্গে আরএসএস'র রাজনৈতিক লড়াই পুরনো,গত শতকের ষাটের দশক থেকে। রাজনৈতিক সংঘর্ষে সিপিআই(এম)’রএকটু বেশি হলেও, দুপক্ষেরই বহু কর্মী-সমর্থক নিহত হয়েছে। সবরীমালা মন্দিরে রজঃস্বলা মহিলাদের প্রবেশের পক্ষে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের এলডিএফ সরকার একে কার্যকর করতে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগী হয়। সরকারের শুধুমাত্র একটা প্রশাসনিক কাজ নয়, সিপিআই(এম) সহ সমগ্র এলডিএফ এটাকে একটা রাজনৈতিক লড়াই হিসেবে গ্রহণ করে। অন্যদিকে বিজেপি জনগণের আবেগকে ব্যবহার করতে ব্যাপক ধর্মীয় প্রচার চালায়। প্রথমে কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পক্ষে দাঁড়ালেও পরে প্রদেশ কংগ্রেসের চাপে এর বিরোধিতা করে; আরএসএস-বিজেপি'র মতো সরকারের বিরুদ্ধে হিংস্রাত্মক আন্দোলনের পথে যায়।

সবরীমালা মন্দিরে রজঃস্বলা মহিলাদের প্রবেশের পক্ষে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের এলডিএফ সরকার একে কার্যকর করতে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগী হয়। সরকারের শুধুমাত্র একটা প্রশাসনিক কাজ নয়, সিপিআই(এম) সহ সমগ্র এলডিএফ এটাকে একটা রাজনৈতিক লড়াই হিসেবে গ্রহণ করে।

গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস রাজ্যে ২০টি আসনের মধ্যে ১৯টিতে জয়ী হয়। এই ফলে তারা ভেবেছিল, সবরীমালার আন্দোলন তাদের ডিভিডেন্ড দিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে পঞ্চায়েত ও বিধানসভার উপনির্বাচনে এবং সম্প্রতি পুর-পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলডিএফ শুধু সবরীমালা সংলগ্ন অঞ্চলে নয় সারা রাজ্যে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ,অতিমারীর সময়ে ভূমিকা এবং অবশ্যই সবরীমালা নিয়ে তাদের যে রাজনৈতিক অবস্থান তা নিয়ে ইতিবাচক প্রচার করে এবং জনগণের সমর্থন পায়। তাদের পক্ষে সমর্থন অর্থাৎ শুধু আসন সংখ্যায় নয় ভোটেও বৃদ্ধি পেয়েছে।আরএসএস-বিজেপি'র ন্যায় ধর্মীয় কার্ড খেলতে গিয়ে কংগ্রেস তাদের সমর্থনভিত্তি হারিয়েছে, বিজেপি'র ভোট বাড়াতে সাহায্য করেছে। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেসের কেরালা লবির যথেষ্ট বিরোধিতা আছে। বিজেপি এ নিয়ে কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম) উভয়ের বিরূদ্ধেই প্রচার করছে। সিপিআই(এম) কিংবা এলডিএফ এটাকে রাজনৈতিকগতভাবে যতটা মোকাবিলা করতে পারছে কংগ্রেস তা পারছে না। সবদিক দিয়েই কংগ্রেস নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই কিছুটা ব্যাকফুটে।

ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিরোধী রাজনৈতিকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের যে অভিযোগ বিজেপি'র বিরুদ্ধে রয়েছে তা এখানেও ঘটছে। গত জুলাইয়ে ঘটা সোনা চোরাচালান কেসে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন সহ এলডিএফ'র কিছু নেতাকে জড়াতে একাধিক অভিযোগ আনার চেষ্টা চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। কিন্তু তা যে একেবারে মিথ্যা এবং সজানো সেটা প্রকাশ্যে চলে আসে। তাই এখন নতুন করে রাজ্য সরকার পরিপোষিত কেরালা ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বোর্ড, বিভিন্ন প্রকল্প ও মিশনগুলিকে টার্গেট করেছে। এই ক্ষেত্রে কংগ্রেস এবং বিজেপি এক নৌকার যাত্রী। তাদের দাবিও এক—দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। এমনকি রাহুল গান্ধীও প্রদেশ কংগ্রেসের সাথে একসুরে গলা মিলিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগের ভিত্তি এতোটাই দুর্বল যে, এরও ভবিষ্যৎ সোনা চোরাচালান কেসের মতোই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

তবে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এখানে অবস্থাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। গত পাঁচ বছরে এলডিএফ'র বিরুদ্ধে একটাও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। এর আগের এলডিএফ সরকারগুলির এবং বিজয়নের বিরুদ্ধে কংগ্রেস দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও তা কোনোবারই ধোপে টেকেনি। এসএনসি লাভলিন মামলায় আদালত বিজয়নকে বেকসুর মুক্তি দিয়েছিল। আবার কংগ্রেস বিজেপি'র তোলা এইসব দুর্নীতির অভিযোগ যে জনগণকে খুব একটা প্রভাবিত করতে পারেনি তার প্রমাণ তো সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে মিলেছে। সবদিক বিচারে এটা বলা যায় যে, বিধানসভা নির্বাচনে অ্যাডভানটেজ এলডিএফ'রই। হয়তো বা এতোদিন ধরে গড়ে ওঠা পরম্পরাকে তারা ভেঙে দিয়ে পরপর দুবার সরকার গড়ার রেকর্ডও তৈরি করতে পারে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in