রাজ্যের পাঁচ আসনের পরিবর্তে কেবলমাত্র ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ রাজ্য বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী সকলেই। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "রাজ্যের পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। একমাত্র ভবানীপুরেই কেন ভোটগ্রহণ হবে? নির্বাচন কমিশন কোনোভাবে প্রভাবিত নয় তো?"
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "কী এমন কারণ যে শুধুমাত্র ভবানীপুরেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হলো, কমিশনই এর উত্তর দিতে পারবে।"
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "যদি উপনির্বাচন হতে পারে, তাহলে কর্পোরেশন বা মিউনিসিপ্যালিটি নির্বাচন হবে না কেন? তখন কেন কোভিড বিধির কথা মনে করায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার?"
রাজ্যের মোট পাঁচ আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা - ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটা এবং শান্তিপুর। ভবানীপুর আসনটি মুখ্যমন্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য গত ২১ মে এখানের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। ভোটের ফল ঘোষণার আগেই করোনা সংক্রমণে মারা যান খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী। এই কেন্দ্রে তিনিই জয়ী হয়েছিলেন। বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছিল গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিজেপির দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। এছাড়াও ভোটগ্রহণের আগেই মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের প্রার্থী মারা যাওয়ায় এই কেন্দ্রেও নির্বাচন হওয়ার কথা। অর্থাৎ মোট সাত কেন্দ্রের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু আজ নির্বাচন কমিশন কেবলমাত্র ভবানীপুর, সামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গীপুর কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর হবে ভোটগ্রহণ এবং ৩ অক্টোবর ফল ঘোষণা।
এই উপনির্বাচন ঘোষণায় অনেকটাই চিন্তামুক্ত হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে তিনি বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও নিয়ম অনুসারে আগামী নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে বিধানসভায় নির্বাচিত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েও ইস্তফা দেন তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।