এত পড়ুয়া ফেল করল কেন? পর্ষদ সভাপতি মহুয়া দাসের কাছে জবাব চাইল নবান্ন

বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়ারা যেভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হল। নবান্নে তাঁকে জরুরি তলব করা হয়েছে।
মহুয়া দাস
মহুয়া দাসফাইল চিত্র

পরীক্ষাই তো হল না। তাহলে ছাত্রছাত্রীরা ফেল করল কীসের ভিত্তিতে? উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়ারা যেভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হল। নবান্নে তাঁকে জরুরি তলব করা হয়েছে। তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিন সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ছাত্রীর পরিচয় করাতে গিয়ে ধর্মের উল্লেখ করেন তিনি। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। শোকজ করা হয় মহুয়া দাসকে। এই অবস্থায় নবান্নে জরুরি তলব করা হল তাঁকে। পর্ষদ সভাপতি নবান্নে যান। দীর্ঘ বৈঠক হয়। কিন্তু কোনও পক্ষই বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেনি।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে শুধু উচ্চ মাধ্যমিকের অকৃতকার্যদের ফলাফলে অসন্তোষ শুধু নয়, রুমানা ইস্যুতেও আলোচনা হয়। রিপোর্ট তলব করে শিক্ষা দফতরও। ফলাফলে যে ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে সংসদের ব্যাখ্যা চেয়েছে সরকার। সঙ্গে ফেল করার কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে।

যদিও শিক্ষকদের একটা অংশ মনে করছে, উচ্চমাধ্যমিকে ফেলের কারণ একাদশ শ্রেণিতে স্কুলের পরীক্ষা পদ্ধতি। অনেক স্কুলই ছাত্রছাত্রীদের ওপর চাপ বজায় রাখতে একাদশ পরীক্ষায় নম্বর চেপে দেয়। এবার যেহেতু সেই নম্বরের ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিকের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে। ফলে অনেকেই ফেল করেছেন।

তবে উচ্চমাধ্যমিকে ২.৫ শতাংশ পড়ুয়া অকৃতকার্য হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
অন্যদিকে, রুমানার ধর্মকে কেন উল্লেখ করা হয়েছে? এই বিষয়ে জবাব তলব করা হয়েছে সাংসদ সভাপতির কাছে। জবাবে খুশি না হলে তাঁর বিরুদ্ধে কিড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in