উত্তর দিনাজপুরে এক বিজেপি নেতার মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ নিজের বাড়ির সামনেই গুলি করে খুন করা হয় ইটাহারের বিজেপি যুব নেতা মিঠুন ঘোষকে। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরাই এই খুন করেছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ মিঠুন ঘোষ ইটাহারের রায়গ্রাম গ্রামে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এইসময়েই অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তি মোটরবাইক চেপে এসে তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করা পাওয়ায়। অতি দ্রুত মিঠুন ঘোষকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এই ঘটনার পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। বিজেপি উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, মিঠুন ঘোষ দলের যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ছিলেন। ইটাহার কেন্দ্রের রায়গ্রামে তাঁর বাড়ি। তাঁকে এর আগেও একাধিকবার ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে এক নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তাঁকে বিভিন্ন ভাবে বারবার হেনস্থা করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানান, আমরা রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি জানতে পারি। মিঠুন ঘরেই ছিলো। কেউ তাঁকে বাইরে থেকে ডাকে। মিঠুন বাইরে আসতেই তাঁকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। আমরা নিশ্চিত যে এই খুনের পেছনে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের হাত আছে। আমাদের আইনের ওপর আস্থা আছে। আমরা ঘটনার এফআইআর দায়ের করেছি এবং পুলিশি পদক্ষেপের অপেক্ষা করছি।
অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক মুশারফ হোসেন জানিয়েছেন, ইটাহার তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এই ঘটনার কোনো যোগাযোগ নেই। রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটেছে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বেও এই ঘটনা ঘটতে পারে। অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে। পুলিশি তদন্তেই সবকিছু স্পষ্ট হবে।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূল খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই নির্দেশ মেনে চলি।
তাঁর বক্তব্য অনুসারে, মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন এবং আমাদের কর্তব্য মানুষকে ভরসা যোগানো। আমরা মানুষের আস্থা যোগাতে মানুষকে হত্যা করিনা। বিজেপি দোষারোপের রাজনীতিতে অভ্যস্ত। বিজেপির উচিৎ নিজেদের দিকে তাকানো এবং নিজেদের দলে কী ঘটছে সেই দিকে নজর রাখা।
- with Agency Input
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।