বাংলায় নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’, রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তারা বাংলারও মানহানি করেছে। আমি জানতে পেরেছি যে 'বেঙ্গল বাঁচাও' লেখা পোস্টার লাগানো হচ্ছে। বাংলায় কী হয়েছে? এটি একটি শান্তিপূর্ণ, শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র।"
বাংলায় নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’
বাংলায় নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো বিতর্কিত সিনেমা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে একথা ঘোষণা করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ছবি প্রদর্শিত হলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। রাজ্যে শান্তি-সৌহার্দ্য বজায় রাখতে ছবি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে অফিশিয়াল অর্ডার এখনও আসেনি।

এদিন সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন ওরা কাশ্মীর ফাইল তৈরি করেছে? একটি সম্প্রদায়কে অপমান করার জন্য। কেরালা ফাইল? এগুলি কী? কাশ্মীরি জনগণের নিন্দা করার জন্য কাশ্মীর ফাইল তৈরি করেছে... এখন তারা কেরালা রাজ্যেরও মানহানি করছে। প্রতিদিন তারা তাদের কথার মাধ্যমে মানহানি করে চলেছে।“

তিনি আরও বলেন, “তারা বাংলারও মানহানি করেছে। আমি জানতে পেরেছি যে 'বেঙ্গল বাঁচাও' লেখা পোস্টার লাগানো হচ্ছে। বাংলায় কী হয়েছে? এটি একটি শান্তিপূর্ণ, শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র। কেন বিজেপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি তৈরি করছে এখানে?"

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আজ দিল্লিতে ছবিটি দেখার পরে তিনি বলেন, "বাংলা এই চলচ্চিত্রটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভুল করেছে। সন্ত্রাসী সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়ে আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কী পান?"

অন্যদিকে তামিল নাড়ুর সিনেমা হলের মালিকরা এই সিনেমা প্রদর্শন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বাংলায় নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’
কেরালা স্টোরির মাঝেই সামনে এলো গুজরাট স্টোরি, মোদী-শাহের রাজ্য থেকে নিখোঁজ ৪১ হাজার মহিলা
বাংলায় নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’
তামিলনাড়ু জুড়ে 'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবির প্রদর্শন বন্ধের সিদ্ধান্ত সিনেমা হল মালিকদের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in