স্কুল খোলার দু’দিন আগেই হাজিরা দিতে হবে শিক্ষকদের, জেলাশাসকের কাছে নির্দেশিকা পাঠাল শিক্ষা দপ্তর

রাজ্য শিক্ষা দপ্তর থেকে নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২৭ জুন গ্রীষ্মাবকাশ শেষ হলেও, তার দু’দিন আগেই অর্থাৎ ২৫ জুন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে যোগ দিতে হবে।
স্কুল খোলার দু’দিন আগেই হাজিরা দিতে হবে শিক্ষকদের, জেলাশাসকের কাছে নির্দেশিকা পাঠাল শিক্ষা দপ্তর
প্রতীকী ছবি
Published on

রাজ্যে শেষ হতে চলেছে গরমের ছুটির মেয়াদ। স্কুল খুলছে আগামী সোমবার থেকে। তবে শিক্ষকদের হাজিরা দিতে হবে আগামীকালই, অর্থাৎ স্কুল খোলার দুদিন আগে।

রাজ্য শিক্ষা দপ্তর থেকে নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২৭ জুন গ্রীষ্মাবকাশ শেষ হলেও, তার দু’দিন আগেই অর্থাৎ শনিবার (২৫ জুন) থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে যোগ দিতে হবে। একইসাথে, অশিক্ষক কর্মীদেরও ওই দিন থেকেই স্কুলে আসার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। তবে, পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলছে সোমবার থেকেই।

উক্ত সরকারী নির্দেশিকাটি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে। সেখান থেকে নোটিশ পৌঁছায় সমস্ত সরকারী ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে। সমস্তরকম কোভিড বিধি মেনেই খোলা হবে স্কুল। যেহেতু সোমবার থেকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসবে, তাই রবিবারের মধ্যেই স্কুল চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বলা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদেরও সম্ভবত সেই জন্যই দু’দিন আগে স্কুলে যোগ দিতে বলা হয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

স্কুল খোলার নোটিশে কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে সরকারের তরফে। জেলা শাসককে বিশেষ নির্দেশিকাতে আদেশ দেওয়া হয়েছে যে, প্রত্যেক জেলায় শিক্ষা বিষয়ক দেখাশোনার জন্য যে অতিরিক্ত জেলাশাসক রয়েছেন তাঁদের বিদ্যালয় পরিদর্শনের জন্য ‘নোডাল অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ করা হোক। কোভিড বিধি যাতে সঠিক ভাবে মানা হয়, নোডাল অফিসাররাই সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

ইতিপূর্বে, স্কুলে গরমের ছুটির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে অভিভাবকদের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তবে সোমবার থেকে যখন গরমের ছুটির শেষে পড়ুয়ারা স্কুলে ফিরবে, ঠিক সেইসময়েই রাজ্যজুড়ে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। তাই আশঙ্কায় রয়েছে ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারেরা।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in