পরিবেশ দপ্তরের দায়িত্ব হারালেন মানস ভুঁইয়া। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্ব নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদের দপ্তর হারানোর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
হঠাৎই পরিবেশ দপ্তর হাতছাড়া হলো মানস ভুঁইয়ার। এর পেছনে দুটি কারণ উঠে আসছে। নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে পরিবেশ দপ্তর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি না থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মানস ভুঁইয়া। সচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন ভুঁইয়া। অনেকে মনে করছেন এভাবে প্রকাশ্যে সরকারি আধিকারিককে হেনস্থা করায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।
মানস বলেছিলেন, "আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, এই অনুষ্ঠানের আয়োজক বা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের উচিত ছিল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ছবি রাখা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই দফতরের যাবতীয় কাজকর্ম হয়। তবুও তাঁর ছবি কেন রাখা হলো না? এই বিষয়ে পরিবেশ দপ্তরের প্রধান সচিব রোশনী সেন আমাকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন।"
সূত্রের খবর, পরিবেশ দপ্তরের সচিবকে সরকারি অনুষ্ঠানে এইভাবে অপ্রস্তুতে ফেলা বহু আধিকারিকেরই পছন্দ হয়নি। ঘটনাটি যে মুখ্যমন্ত্রীর নজর এড়ায়নি তা বলা যেতে পারে। সেই জন্যই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত।
আবার কেউ কেউ মনে করছেন সম্প্রতি এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মানস ভুঁইয়া, দোলা সেন সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে গিয়েও তাঁদেরকে 'চোর চোর' স্লোগান শুনতে হয়েছিল গ্রামবাসীদের মুখে। কার্যত অসহায় ভাবে ফিরতে হয়েছিল তৃণমূল নেতাদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী। পরে ঘটনাস্থলে যেতে হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে।
এছাড়া সূত্রের খবর, বিভিন্ন দলীয় বৈঠকে বা প্রশাসনিক বৈঠকে মানস ভুঁইয়ার কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। মানস ভুঁইয়াকে সংগঠনের কাজে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, "মানস দা আপনি একটু সংগঠনের কাজ করুন। দলকে সময় দিন। সারাজীবন সবং নিয়ে থাকলে হবে? অন্য জায়গাগুলোও তো দেখতে হবে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন