

ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নেই। তাই ধান চাষের পর এবার আলুর দাম নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। রবিবার আলুর বস্তা ৫০ কেজি বিক্রি হয়েছে মাত্র ২৬০ টাকায়। হিমঘরে এখনও যা বিক্রি হয়েছে, তার প্রায় দ্বিগুণ মজুত রয়েছে। ফলে আলুর দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষকরা। ১ কেজি আলুর দাম কৃষকরা পাচ্ছেন ৫ টাকা ২০ পয়সা। আর সেই আলুই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ টাকা কেজি দরে।
মেমারির এক কৃষক জানান, এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয় ৩২ হাজার টাকা। সেই এক বিঘা জমির আলু বিক্রি করে কৃষক বর্তমানে পাচ্ছেন ২০ হাজার ৮০০ টাকা। ফলে লোকসান হচ্ছে প্রায় ১১ হাজার টাকা। যে কৃষক ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন, তার ক্ষতি হচ্ছে ৫৬ হাজার টাকা। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার দিচ্ছেন মাত্র আড়াই হাজার টাকা।
অন্যদিকে, আমন ধান চাষেও ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের। সরকারকে এক একর জমির ধান সহায়ক মূল্যে বিক্রি করলে কৃষক পেতেন ৬৬ হাজার টাকা। কিন্তু তা না হওয়ায় অভাবে বিক্রি করতে হচ্ছে ২৮ হাজার টাকায়। ক্ষতি হচ্ছে একর পিছু ৩৮ হাজার টাকা। দুই একরে ক্ষতি ৭৬ হাজার টাকা। সরকার কৃষককে দিচ্ছে মাত্র আড়াই হাজার টাকা। তাহলে পাঁচ বিঘা জমির ধানের জন্য ক্ষতি হচ্ছে ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা। তাহলে বছরে ধান ও আলু চাষ করে ৫ বিঘা জমিতে কৃষকের লোকসান হচ্ছে এক লক্ষ ২৯ হাজার টাকা।
অপরদিকে বোরো ধান প্রধান অর্থকরী ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছেন কৃষকরা। গরিব কৃষকরা সাধারণত চুক্তিতে জমি নিয়ে এই চাষ করেন। কিন্তু সহায়ক মূল্য না পাওয়ায় এই চাষ করে ক্ষতির মুখোমুখি হয়ে অনেক কৃষকই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
বর্ধমান জেলা কৃষক সভার সম্পাদক সৈয়দ হোসেনের দাবি, সরকারকে বোরো ধানও সহায়ক মূল্য কিনতে হবে। কিন্তু কৃষি আইন সারাদেশে প্রয়োগ হলে সরকার ধান কিনবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন