রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পর্বের দ্বিতীয় দিনের অশান্তি অব্যাহত। একাধিক জায়গায় শাসদলের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিরোধীরা। কোথাও আবার শাসকদলের হাতে আক্রান্ত সরকারী কর্মী। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক দ্বিতীয় দিনের মনোনয়নে অশান্তির চিত্র -
ভাঙড়: আইএসএফ-কে কেন পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র তুলতে দেওয়া হল, এই প্রশ্ন তুলে ব্লক অফিসের সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ২ ব্লকে ঘটনাটি ঘটেছে। চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের আইএসএফ নেতা সাইম কাদিরকে মনোনয়নের ফর্ম দিয়েছিলেন বিডিও অফিসের কর্মী বিদ্যুৎ ঘোষ। এই কারণে তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে চালতাবেড়িয়ার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
ডোমকল: ১) মুর্শিদাবাদের ডোমকল ব্লক অফিসে বাম নেতাকর্মীদের আটকে রেখে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা প্রতিরোধ করে বাম কর্মীরা। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কড়া পুলিশি প্রহরায় আবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয় সেখানে।
২) তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র গুঁজে মনোনয়ন জমা দিতে এসেছেন ডোমকলের সারাংপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বাসির মোল্লা।
বারাবনি: আসানসোলের বারাবনিতে তৃণমূল ও সিপিআইএম কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। মনোনয়ন জমা দিতে আসার সময় বিডিও অফিসের সময় দুই দলের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষ্ণুপুর এবং পাত্রসায়র: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ পাত্রসায়রে। সেখানে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর নেতৃত্বে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে শাসকদলের বাধার সম্মুক্ষীণ হয় তাঁরা। এর প্রতিবাদে পাত্রসায়র ব্লকের কাঁকরডাঙ্গা মোড়ে রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ দেখান সাংসদ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ঠুঁটো জগন্নাথ বলেও আক্রমণ করেছেন তিনি।
সালার: মুর্শিদাবাদের সালারে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে। অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতে আহত হন অন্তত ১৫ জন। এই ঘটনায় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ৩ অনুগামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
লাভপুর: বীরভূমের লাভপুরে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গন্ডগোলে এক কর্মীর হাত ভেঙে গিয়েছে বলে দাবি বিজেপির।
অশান্তির-সংঘর্ষের জেরে রাজভবনে তলব করা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ। বৈঠকের পর রাজ্যপাল জানান, যে কোনও মুল্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান তিনি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।