WB BJP: সংবাদমাধ্যমে নেতৃত্বকে নিশানা করে আক্রমণ - দিলীপকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

দলের তরফ থেকে চিঠি প্রকাশ করে বলা হয়, “সংবাদমাধ্যমে নেতৃত্বকে নিশানা করে একের পর এক আক্রমণ, এমন রাজনৈতিক আচরণ কখোনই গ্রহণযোগ্য নয়”। তাঁর কথাবার্তার জেরে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল বলে সুত্রের খবর।
দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষফাইল ছবি

একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দিলীপ ঘোষকে সেন্সর করল বিজেপির হাইকমিশন। সংবাদ মাধ্যমে দলবিরোধী মন্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিল দল। কড়া বার্তা দিয়ে চিঠি দিল অরুণ সিং।

দিলীপের মুখ বন্ধ করতে তৎপর হল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের তরফ থেকে চিঠি প্রকাশ করে বলা হয়, “সংবাদমাধ্যমে নেতৃত্বকে নিশানা করে একের পর এক আক্রমণ, এমন রাজনৈতিক আচরণ কখোনই গ্রহণযোগ্য নয়”। তাঁর কথাবার্তার জেরে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল বলে সুত্রের খবর। সেই বিষয়কে কেন্দ্র করেই বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুন সিং চিঠি দিলেন দিলীপ ঘোষকে। জে পি নাড্ডার নির্দেশেই এই চিঠি লেখা হয়েছে। এমনটাই উল্লিখিত আছে চিঠিতে।

চিঠিতে উল্লেখ আছে, “দিলীপের মন্তব্যের জেরে দলের অস্বস্তি বাড়ছে, রাজ্যের অনেক নেতা এটা ভালোভাবে দেখছে না”। পাশাপাশি ঐ চিঠিতে অরুণ সিং লেখেন, আশা করছি আপনি (দিলীপ) এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বুঝবেন, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা অন্য যে কোনো পাবলিক ফোরামে বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকবেন। যদিও এ বিষয়ে দিলীপ ঘোষ এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, এই চিঠি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।

প্রসঙ্গত, বারবার রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে দেখা গেছে দিলীপ ঘোষকে। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাজ্যের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন যদি তারা ৪০ শতাংশ ভোট পেতে পারে বা পার্টিকে জেতাতে পারে তাহলে তাদের কথা মেনে নেব। নয়তো ভাবতে হবে তারা ভিতরে ভিতরে তৃণমূলের সাথে সেটিং করছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিজেপির উত্থানে বিরোধীদলগুলি যত না চিন্তিত তার থেকে বেশী চিন্তিত হয়েছে পার্টির লোকেরা।

এর আগেও তথাগত রায়কে উদ্দেশ্য করেই দিলীপ ঘোষ বলেন, "যাঁরা লোকের পায়ে ধরে চাকরি পেয়েছেন, যাঁরা বিজেপি পার্টি অফিসকে পানশালা বানিয়ে দিয়েছিলেন, জীবনে ফূর্তি ছাড়া কিছু করেননি, যাঁরা সিপিআইএম ও তৃণমূল থেকে সব সুবিধা নিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল বিজেপি যাতে কোনো দিন ৪ শতাংশের বেশী ভোট না পায়। সেই সব আহাম্মকদের কথা কে শোনে? বয়সের দোষ। ৭২ বছর বয়স হয়ে গেলে মাথা কাজ করেনা।"

শুধু তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে নয়, নাম না করে দলের বর্তমান রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, "রাজ্যে যে ধরনের অত্যাচার চলছিল, তার বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়ে ছিলাম। লোকে আমাদের বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল। আমি নিজে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। মানুষ পিছনে দাঁড়িয়েছিল। মানুষ আশীর্বাদ করেছিল। এখন মানুষের সেই বিশ্বাস নেই। রাজ্যের লোক চায় আমরা মাঠে নেমে আন্দোলন করি। সেই রোল আমরা প্লে না করতে পারলে মানুষ আমাদের প্রধান বিরোধী হিসেবে রাখবে কেন? অনেক কিছুর অভাব আছে। প্ল্যানিংয়ের অভাব আছে। মনোবলের অভাব আছে। কর্মীরা আমাদের দিকে চেয়ে আছেন। কেউ পার্টি ছাড়েননি। ২০১৯ সাল পর্যন্ত যাঁরা পার্টিকে দাঁড় করিয়েছেন, তাঁরা মনে কষ্ট নিয়ে ঘরে বসে আছেন। তাঁরা ঘন্টার পর ঘন্টা পার্টির জন্য সময় দিতেন। তাঁদের হাতে এখন কোনো কাজ নেই। যোগ্য লোকদের বাদ দিলে কিভাবে হবে?

দিলীপ ঘোষ
পারলে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে দেখাক, না হলে ভাবব তৃণমূলের সাথে সেটিং আছে - বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in