
আগামী সপ্তাহে কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে কে কে থাকবেন, এবার সেই প্রশ্ন চিহ্ন উঠল। কারণ উপস্থিতের তালিকা তৈরি করার জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে বাছাইপর্ব।
শোনা যাচ্ছে, পছন্দের ও নিজের গোষ্ঠীর লোককেই বৈঠকে আমন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে দলের রাজ্য সংগঠন নিয়ে ক্ষোভের কথা সরাসরি শাহকে বলার সুযোগ পাচ্ছেন না বিদ্রোহীরা। পাশাপাশি কারও কিছু বলার থাকলে তা লিখিত আকারে দেওয়ার নির্দেশিকাও জারি হতে চলেছে।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, সুকান্ত-শুভেন্দুদের নেতৃত্বে রাজ্য কমিটির সাংগঠনিক ত্রুটি-বিচ্যুতি আটকাতে ক্ষমতাসীন শিবিরের নাম বাছাইয়ের চেষ্টা কতটা সফল হবে। বিক্ষুব্ধরা অমিত শাহকে বলতে চান যে নব্য ও তৎকাল নেতারা পুরনো ও অভিজ্ঞদের সাইডলাইনে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এদিকে, বঙ্গ বিজেপির আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দল পরিচালনায় সামগ্রিক ব্যর্থতার বিস্তারিত রিপোর্ট গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, ৪ মে রাতে কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরদিন সকালে উত্তরবঙ্গে সরকারি কর্মসূচি, বিকেলে শিলিগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন ময়দানে জনসভা করে ৬ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনায় সরকারি কর্মসূচি সেরে কলকাতায় ফিরবেন। বিকেলে শুরু হবে দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক।
প্রসঙ্গত, আগেই দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ‘অভিজ্ঞতা কম’ বলে মন্তব্য করেছেন। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরাও প্রতিনিয়ত ক্ষোভ জানাচ্ছেন। এই বিক্ষুব্ধ ঝড় আটকাতে নেমে পড়েছে সুকান্ত গোষ্ঠী।
এদিকে, মণ্ডল সভাপতি নিয়ে বয়সসীমা ৪৫-এর সার্কুলার ঘিরে দ্বন্দ্ব লেগেছে বিজেপিতে। আদি নেতাদের প্রশ্ন, অভিজ্ঞতা না থাকলে সংগঠন পরিচালিত হবে কী করে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন