মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , সুজন চক্রবর্তী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , সুজন চক্রবর্তীগ্রাফিক্স - আকাশ নেয়ে

WB: ২০ হাজার একর সরকারি জমি খোলাবাজারে বিক্রির ছাড়পত্র মমতা সরকারের! সরব CPIM

সিপিআই (এম) নেতা সুজন বলেন, 'কেন্দ্রে ওঁরা (বিজেপি সরকার) কোম্পানি বেঁচে দিচ্ছে, আর এখানে এঁরা (তৃণমূল সরকার) জমি বেছে দিচ্ছে।'

লিজের জন্য সরকারি জমি 'ফ্রি হোল্ড' করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল সরকার। আর, তা নিয়ে সরব হয়েছে সিপিআই(এম)। দলের সিনিয়র নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, 'মমতা সরকারের এই সিদ্ধান্ত বুঝিয়ে দিচ্ছে, শিল্পায়ন নিয়ে তাঁদের দাবি ভুয়ো। তাঁদের দেয়া জমিতে কোনও শিল্প করতে এগিয়ে আসছে না বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান।'

বৃহস্পতিবার, পিপলস রিপোর্টার-কে তিনি জানান, 'চার দশক আগে ভূমিহীনদের হাতে জমি তুলে দিয়ে গোটা দেশে নজির তৈরি করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। সেই রাজ্যেই জমি আন্দোলনকে সামনে রেখে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার। আর, ক্ষমতায় ফেরার এক দশকের মাথায় সেই তৃণমূল সরকারই দেদারে সরকারি জমি বিক্রির পথে হাঁটছে। আসলে, জমি বিক্রি করেই এখন সরকার চালাতে চাচ্ছে মমতা।'

এতদিন সরকারি জমিকে লিজে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু ছিল। লিজের জমির মালিকানা সরকারের হাতেই থাকত। কিন্তু, সেই মালিকানাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জমি মাফিয়াদের হাতে তুলে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ এনেছেন সিপিআই(এম) নেতা সুজন। তিনি বলেন, 'জমি মাফিয়াদের হাতে সরকারি জমি বেচে দিতে চাইছে সরকার। আর, তা হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন সাধারণ গরীব মানুষ।'

এদিন তৃণমূলের পাশাপাশি কেন্দ্রের মোদী সরকারকেও খোঁচা দেন সিপিআই (এম) নেতা সুজন। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রে ওঁরা (বিজেপি সরকার) কোম্পানি বেঁচে দিচ্ছে, আর এখানে এঁরা (তৃণমূল সরকার) জমি বেছে দিচ্ছে।'

সূত্রের খবর, গত বুধবার, রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শিল্পের জন্য লিজে নেওয়া জমি ফেলে রাখা যাবে না। হয় এগুলি কিনে নিতে হবে, নাহলে তা ফেরত দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। লিজে থাকা বা লিজের জন্য জমি 'ফ্রি হোল্ড' করবে সরকার। এজন্য, জমি সংক্রান্ত আইন সংশোধন করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।

এদিকে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের হাতে প্রায় ২০ হাজার একর জমি আছে। সেই জমিকেও' ফ্রি হোল্ড' করার অর্থ হল- সরকারি জমিকে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া বা তাঁদেরকে বিক্রি করা।

নবান্নের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, লিজ হোল্ড থেকে সরকারি জমি 'ফ্রি হোল্ডে' তুলে দেওয়া কার্যত এক চরম নীতিগত সিদ্ধান্ত। এতে সরকার এককালীন টাকা পাবে, রাজস্ব বাড়বে ঠিকই, কিন্তু- জমিগুলি চলে যাবে জমি মাফিয়াদের হাতে। আবার, পাট্টার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন লক্ষ লক্ষ ভূমিহীন রাজ্যবাসী!

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , সুজন চক্রবর্তী
তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানায় আয়কর হানার জের, উদ্ধার কোটি কোটি টাকা!

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in