জলবন্দি দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা - পানীয় জলের সংকট চরমে, মিলছে না ওষুধ

গ্রামাঞ্চলের জল দূষণ চরম আকার নিয়েছে। পানীয় জলের সংকট চরমে। শুকনো রান্না করা খাবার মিলছে না। সব দোকান থেকে খাদ্যসাথী প্রকল্পের রেশন নেওয়ার অবস্থাও নেই।
জলবন্দি দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা - পানীয় জলের সংকট চরমে, মিলছে না ওষুধ
ফাইল চিত্র
Published on

আগের বর্ষার জেরই এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি দুই মেদিনীপুরবাসী। তারই মধ্যে জোড়া নিম্নচাপের জেরে মঙ্গল ও বুধবার টানা বৃষ্টিতে জলবন্দি হয়ে আছেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ভেঙে পড়া ৪৭টি বাঁধ এখনও মেরামত হয়নি। ফলে সেই ভাঙা বাঁধ দিয়ে ঢুকে পড়া নদীর জলে সবং, পিংলা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জলস্তর আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুধবার দুপুরে চন্দ্রকোনা এক ব্লকে বৃষ্টির জেরে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। দু'জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খড়গপুর শহরে রেলের দেওয়াল চাপা পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি দিঘায় দেওয়াল চাপা পড়ে দু'জন আহত হয়েছেন।

রাজ্য সড়ক, জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে জলের স্রোত বইছে। খড়গপুর শহর, রেলস্টেশন জলের তলায়। একটানা বৃষ্টিতে কার্যত জলের তলায় জেলার তিন মহকুমা শহর খড়গপুর, মেদিনীপুর, ঘাটাল। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পিংলা, সবং, ডেবরা, নারায়ণগড়ে। জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে কেলেঘাই, কপালেশ্বরী নদীর জলের স্রোত বইছে।

গত প্রায় তিনমাস ধরে বর্ষার জলে বিপর্যস্ত খড়্গপুর, মেদিনীপুর, ঘাটাল শহর, ঘাটাল ব্লক ও দাসপুরের চারটি অঞ্চল। গ্রামাঞ্চলের জল দূষণ চরম আকার নিয়েছে। পানীয় জলের সংকট চরমে। শুকনো রান্না করা খাবার মিলছে না। সব দোকান থেকে খাদ্যসাথী প্রকল্পের রেশন নেওয়ার অবস্থাও নেই।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে বন্যা কবলিত এলাকা ঘোষণা করার দাবি উঠেছে। পর্যাপ্ত ত্রিপল, পানীয় জল, খাবার, চিকিৎসা পরিযেবা প্রয়োজন।গত আগস্ট মাসে বৃষ্টি ও বন্যার জেরে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে দেওয়া চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। চলতি মাসে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in