

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারনের দাবি তুলে এবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখলেন ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে একাধিকবার বিবাদে জড়িয়েছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা এবং পড়ুয়াদের সাসপেন্ড ও বরখাস্ত করার অভিযোগ উঠেছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ক্যাম্পাসের অন্দরে দীর্ঘদিন চলছে একটা চাপা উত্তেজনা। এবার, সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা চিঠিতে।
জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন ভঙ্গ, আর্থিক দুর্নীতি, কর্মীদের বরখাস্ত, কর্মীদের পেনশন-বেতন আটকে দেওয়া-সহ বহু অভিযোগ রয়েছে উপাচার্যর বিরুদ্ধে। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে সাধারণ কর্মীরা, সকলেই চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সব মিলিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন উপাচার্য। বৃহস্পতিবার, এই অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
চিঠিতে দাবী করা হয়েছে, ‘বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নিষ্ঠুর মনোভাবের জন্যই বিশ্বভারতীর পড়াশোনার পরিবেশ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হচ্ছে।’
এপ্রসঙ্গে, অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানান, 'গত ২৮ মার্চ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শান্তিনিকেতন সফরে আসেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তার আগের দিনই বিশ্বভারতীর পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতিকে বিশ্বভারতীর নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরে অশান্তির বাতাবরণ, অবনমন বিষয়ে ইমেলে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠি দেওয়ার পরপরই সাতজন অধ্যাপককে শোকজ করেন কর্তৃপক্ষ।'
তিনি জানান, 'আমরা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণ চাই। তাই আবার চিঠি দেওয়া হল রাষ্ট্রপতিকে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন