
দাবি আদায়ের জন্য এবার অনশনের পথে হাঁটলো বিশ্বভারতীতে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে অনশন শুরু করলেন বরখাস্ত হওয়া তিন পড়ুয়ার একজন। তাঁর সাথেই অনশন শুরু করেছেন বরখাস্ত হওয়া এক শিক্ষকও। আপাতত রিলে অনশন করবেন দু'জন। তবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
রবিবার দুপুর থেকে অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে অনশন শুরু করেছেন বরখাস্ত হওয়া সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী। তাঁর সাথে অনশনে বসেছেন বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। রূপা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা এতদিন ধরে আন্দোলন করলেও কর্তৃপক্ষের তাতে কোনো হেলদোল নেই। পড়ুয়াদের সাথে আলোচনার পরিবর্তে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন উপাচার্য। তাই বাধ্য হয়ে অনশনের রাস্তা বেছে নিয়েছেন তিনি।
বরখাস্ত শিক্ষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের কথায়, উপাচার্য বারবার মিথ্যাচার করছেন। শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দেন। তাঁদের তালা বন্ধ করে রেখে দিয়ে ছাত্রদের ওপর দোষারোপ করার চেষ্টা করেন। একাধিক অন্যায় করেছেন উপাচার্য।
তাঁরা দুজনেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শীঘ্রই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে আমরণ অনশনে বসবেন তাঁরা।
সম্প্রতি রূপা চক্রবর্তী সহ তিন পড়ুয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। গত জানুয়ারি মাস থেকেই সাসপেন্ড ছিল এই পড়ুয়ারা। অর্থনীতির অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোয় তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু পরে ধীরে ধীরে সাসপেনশনের মেয়াদ বাড়ানো হয় যা শেষ হওয়ার আগেই বরখাস্ত করা হয় তাঁদের। এর প্রতিবাদে গত ২৭ আগস্ট থেকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিশ্বভারতীর কিছু পড়ুয়া।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন