বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থান চলছে বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলেন অধ্যাপকরা। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন। রবিবার থেকে আন্দোলন মঞ্চে অনশন শুরু করেছেন বহিষ্কৃত ছাত্রী তথা এসএফআই নেত্রী রূপা চক্রবর্তী। দাবি পূরণ না হলে অনশন প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিশ্বভারতীকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের হস্তক্ষেপ দাবি করে অধ্যাপকরা চিঠি পাঠিয়েছেন। বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন (ভিবিউফা)–এর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুলে তাঁকে ইমেল করা হয়েছে।
অধ্যাপকদের অভিযোগ, বেতন ও পেনশন না দেওয়া, অনৈতিকভাবে বেতন কেটে নেওয়া, কথায় কথায় অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী এবং কর্মীদের সাসপেন্ড করা, বহিষ্কার করা, বদলি করা হয়। এসব কিছুই হয় উপাচার্যের কথায়। তাঁর এসব সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রচুর মামলা দায়ের হয়েছে, অনেক মামলা কোর্টে চলছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ বেড়েছে।
এমনকী ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে কোনও নিয়োগ হয়নি। সহ-উপাচার্য, রেজিস্টার, ফিনান্স অফিসার-সহ বহু পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে বিশ্বভারতীকে বাঁচাবার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। ওই চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, স্থানীয় মানুষের সঙ্গে উপাচার্যের সম্পর্কও ভালো নয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে মানুষের মনে।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু পড়ুয়াদের আন্দোলন মঞ্চে থাকা নয়, এবার যৌথ মঞ্চ করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে। সেখানে বিশ্বভারতীর এই আন্দোলনরত পড়ুয়া, অধ্যাপকদের একটা বড় অংশ, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা, হস্তশিল্পীদের সংগঠন, মহিলা সমিতি-সহ বেশ কিছু সংগঠন যোগ দিতে চলেছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।