
১৮ মার্চ, কলকাতা- বিশ্বভারতী বন্ধের ব্যবস্থা আমি করে যাব। এরকমই হুমকি শোনা গেল স্বয়ং উপাচার্যের মুখে। একটি ভয়েস অডিও ক্লিপে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মুখে একথা শুনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে তৈরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আশঙ্কায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শিক্ষক মহল। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
তিনি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি পাশাপাশি অধ্যাপকদের কটূক্তিও করেছেন বলে অভিযোগ। অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে বিরোধিতা করে কোনও বিবৃতি দেয়নি। উপাচার্যকেও ফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপ করে কোন ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কোনও মন্তব্য করেননি জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার।
সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ মার্চ গুগল মিটে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের সঙ্গে উপাচার্য বৈঠকের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। তাতে শোনা গিয়েছে বৈঠকের শুরু থেকে অত্যন্ত চড়া মেজাজে উপাচার্যকে অশালীন মন্তব্য করতে। অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের ভীতু বলে সম্বোধন করেছেন। পাশাপাশি হুমকি দিয়েছে 'বিশ্বভারতী যাতে বন্ধ হয়ে যায়, সে ব্যবস্থা আমি করে দিয়ে যাব।' যদিও তিনি কাউকে ধমকি দিচ্ছেন না বলে সাফাইও গেয়েছেন।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অভিযোগ, 'বিশ্বভারতী চোর ডাকাতের আড্ডা হয়ে গিয়েছে। নইলে অনুব্রত মণ্ডল বলতে পারে উপাচার্য পাগল। আর আপনারা সেটা মেনে নেন।' তাঁর দাবি, তিনি এই চোর-ডাকাতদের উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু কোনওভাবে তাঁকে দমিয়ে রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।
এই বিষয়ে জনৈক আশ্রমিক জানান, এখনই তো সব বন্ধ করে দিয়েছেন। কিছুরই আর অস্তিত্ব নেই। সব নষ্ট করে দিয়েছেন। নতুন করে আর কী বন্ধ করবেন। ওনার হাতে প্রতিষ্ঠানটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কখনও অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের কটূক্তি করে, তো কখনও নোবেলজয়ী অর্মত্য সেনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই উপাচার্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন