“ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড অ্যান্ড ডিভাইড উই ফল, বঙ্গভঙ্গ হতে দিচ্ছি না” - ফিরহাদ হাকিম

এই চক্রান্ত ওদের সফল হবে না। বাংলার মানুষ বিভাজন চায় না। বাংলার মানুষ একসঙ্গে থাকতে চায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি ফিরহাদ হাকিম
সাংবাদিকদের মুখোমুখি ফিরহাদ হাকিমনিজস্ব চিত্র
Published on

ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড এন্ড ডিভাইড উই ফল। কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এটা মানতে চায় না। ওরা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। বিজেপি সাংসদ জন বার্লা বলছেন উত্তরবঙ্গ কে ভাগ করতে হবে, শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমিত্র খাঁও দাবি করছেন পৃথক পশ্চিমাঞ্চলের। আসলে বিজেপি এ রাজ্যের মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে পরাজয়টা মেনে নিতে পারছে না। সে কারণেই বাংলাকে দুর্বল করার লক্ষ্যে ফের বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে। এই চক্রান্ত ওদের সফল হবে না। বাংলার মানুষ বিভাজন চায় না। বাংলার মানুষ একসঙ্গে থাকতে চায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম।

তিনি আরও বলেন- বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে, ভারত বর্ষ এক থাকুক বাংলাও এক থাকুক। বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মানুষ তাদের ম্যান্ডেট দিয়ে দিয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে যে বঞ্চনার কথা বলা হচ্ছে তা মিথ্যা। আদপে বিজেপিই বাংলাকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে চলেছে। আয়লা, আমফানের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের টাকা এখনো দেয়নি তারা। সম্প্রতি যশের আগমনে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। কেন্দ্রের এহেন অসহযোগিতার কারণে মানুষের কল্যাণে তৈরি অনেক প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে। তাই বঞ্চনার বাহানা দিয়ে বাংলা ভাগ করার চক্রান্ত আসলে বাংলা কে দুর্বল করে দেওয়ার লক্ষ্যেই চালানো হচ্ছে ।

ভ্যাকসিন নিয়েও এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন - "ভ্যাকসিন নিয়েও মিথ্যাচার করছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে মন্তব্য তাড়া করছে তাদের জানা উচিত, কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী ভ্যাকসিন অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিন পাওয়া এবং প্রতিদিন কতজন মানুষকে তা দেওয়া হলো তার বিস্তারিত রিপোর্ট থাকে। ফলে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যাচার করা শোভা পায় না।"

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in