বৃষ্টিতে জীর্ণ বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু দুই গর্ভবতী মহিলার

এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন এলাকার মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করলেও বিপজ্জনক এবং ভগ্নপ্রায় বাড়িটি সারানোর কোনো পদক্ষেপ নেননি অজিত বাবু।
ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল
ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল
Published on

দেওয়াল চাপা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল দুই গর্ভবতী মহিলার। সোমবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার রাজনগর পশ্চিম এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে‌।

দুই গর্ভবতী মহিলার নাম খুশি দোলুই (২১) এবং লীলা দোলুই (২৩), সম্পর্কে দুই জা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে বৃষ্টির সময় রান্নাঘরে ছিলেন খুশি এবং লীলা। পৌনে তিনটে নাগাদ তাঁদের বাড়ির পাশে থাকা জীর্ণ একটি বাড়ির প্রায় ৩৫ ফুট উঁচু দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে রান্নাঘরের উপর। ভেঙে পড়া দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে যায় খুশি এবং লীলা।

তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় খুশি এবং লীলাকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা ওই দুই গর্ভবতী মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় মোট চারটি প্রাণের মৃত্যু হলো। খুশি এবং লীলার বিয়ে হয়েছিল এক বছরের মধ্যে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জীর্ণ বাড়ির মালিক অজিত বরদলই এবং রঞ্জিত বরদলই নামে দুই ভাই। বাড়িটি প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো বলে স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন। অজিতবাবু বেশ কয়েক বছর আগে রাজনগর বাজারে পাকা বাড়ি করে চলে গেছেন। কিন্তু ভগ্নপ্রায় বাড়িটি ভাঙেননি তিনি।

এলাকার বাসিন্দারা বারবার বাড়িটিকে সারানোর কথা বললেও, তা কর্ণপাত করেননি অজিতবাবু। বর্ষার মরসুমে বৃষ্টির জলে ভগ্নপ্রায় বাড়িটি অবস্থা আরো দুর্বল হতে থাকে।

সোমবার বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ার ঘটনায় প্রথম স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা এলাকা। কিন্তু তারপরেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন এলাকার মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আবেদন নিবেদন করলেও বিপজ্জনক এবং ভগ্নপ্রায় বাড়িটি সারানোর কোনো পদক্ষেপ নেননি অজিত বাবু।

এই ঘটনার পর প্রায় হাজার দুয়েক মানুষ ওই এলাকায় জমায়েত হন এবং ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দাসপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীর দাবি আইনত এর ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in