

বিধানসভা ভোটের আগে নদিয়ায় আবারও বিজেপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। কল্যাণী এইমসে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব বাঁধল দুই বিজেপি বিধায়কের মধ্যে। হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার সরাসরি অভিযোগ তুললেন কল্যাণীর দলীয় বিধায়ক অম্বিকা রায়ের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, অম্বিকার ছত্রছায়ায় অর্থের বিনিময়ে এইমসে বেআইনি নিয়োগের কারবার চলছে। তাঁর দাবি, প্রায় এক কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। যদিও অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন অম্বিকা রায়।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে অসীম সরকার জানান, এইমসে মোট ৮৪ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের কথা থাকলেও, অম্বিকার সুপারিশে আগেভাগেই ৩০ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, এবং তাঁদের হাতে নাকি ভুবনেশ্বর এইমসের পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে—যা তিনি বেআইনি বলেই দাবি করছেন। তাঁর অভিযোগ, "চাকরি দেওয়ার নামে টাকা লেনদেন হয়েছে বলে খবর পাচ্ছি। প্রমাণ নেই, কিন্তু অনেকেই বাড়িছাড়া হয়ে পড়েছেন বলে শুনছি।”
অসীম সরকারের কথায়, স্থানীয়দের সুযোগ করে দিতে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তখনই এই তথ্য জানতে পেরেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি তদন্তের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের তীর শুধু দলীয় বিধায়কের দিকেই নয়, এইমস কর্তৃপক্ষের দিকেও।
পাল্টা জবাবও দিয়েছেন অম্বিকা রায়। তাঁর বক্তব্য, “সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। অসীম সরকার প্রমাণ করে দেখান। রাজ্য নেতৃত্ব সব জানেন, তাঁরাই দেখবেন।” তাঁর দাবি, "বঞ্চিত কর্মীদের বেতন নিয়ে সমস্যা ছিল, তিনি তা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন মাত্র। টাকা নিয়ে নিয়োগের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।"
এই ঘটনায় বিরোধীরা সুযোগ নিতে ছাড়েননি। তৃণমূল কংগ্রেসের রাণাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির দুর্নীতির ছবি এখন নিজেরাই তুলে ধরছেন। এক বিধায়ক আরেকজনকে অভিযুক্ত করছেন—এটাই বিজেপির প্রকৃত চরিত্র।”
উল্লেখ্য, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়কে ঘিরে এর আগেও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছিল। দলের ভেতরেও তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমে থাকার কথা শোনা গিয়েছে বহুদিন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
