Tuhina Khatun Case: এখনও মূল অভিযুক্ত বাদশাকে জেরা করতে পারেনি পুলিশ, বাড়িতে ফরেনসিক দল

ফরেনসিক দল জানিয়েছে, তাদের কোনও কিছুই বলার নেই। তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। তুহিনার কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছবিও তোলা হয়েছে।
১১ দিনের মাথায় এল ফরেনসিক দল
১১ দিনের মাথায় এল ফরেনসিক দল ছবি - সংগৃহীত
Published on

বর্ধমানের কলেজছাত্রী তুহিনা খাতুনের মৃত্যুর পর কেটে গেছে ১১ দিন। কিন্তু এখনও মূল অভিযুক্ত বাদশাকে জেরা করেনি পুলিশ। ১১ দিনের মাথায় অবশ্য রাজ্যের ফরেনসিক দল সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসে। ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর বর্ধমানের বাবুরবাগ এসেছিলেন পুলিশ সুপার।

ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া যেভাবে চলছে, তাতে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আনিস খান হত্যাকাণ্ডের মতোই এই ঘটনাও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তুহিনার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে সাজানো হচ্ছে। তুহিনার বাড়ির ঠিক আগের দেওয়ালে আত্মহত্যায় প্ররোচনামূলক ছবি আঁকা হয়, হুমকি দেওয়া হয়, বোমাবাজি করা হয়, তাতে সন্ত্রস্ত হয়ে তুহিনা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, তুহিনার মৃত্যুরহস্য ধামাচাপা দিতে পুলিশ তদন্ত আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। অভিযুক্তকে বাঁচাতে চায়। তাই ঘটনার পর পুলিশ বাদশাকে ধরার সাহস দেখাতে পারেনি। রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে তৃণমূল ভবনে। তুহিনার পরিবার সরাসরি বাদশার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এখনও তাকে ডাকতেও পারেনি। পুলিশ যে কার্যত দলদাসে পরিণত হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

এদিন তুহিনার দিদি কুহেলি বিবি কাছে জানতে চাওয়া হয় যে সেদিন আসলে কী হয়েছিল? তিনি বলেন, 'আমরা সেদিন যা দেখেছি, ঘটেছে, সেটাই বলেছি। আমার বোনকে বাদশারা জেতার উল্লাসে মারধর করেছে। শ্লীলতাহানি করেছে। বাধ্য হয়ে আমার বোন তখন গলায় ওড়না জড়িয়ে ফাঁস লাগিয়েছে। বাদশার গুন্ডারা আমাদের দুই বোনকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে বাইরে এনে হেনস্থা করেছে। তারপর বাদশার নির্দেশেই ওই ছবি দেখিয়ে বলেছে এরপর তোদের দুই বোনের অবস্থা এমনই হবে।'

ফরেনসিক দল অবশ্য জানিয়েছে, তাদের কোনও কিছুই বলার নেই। তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। তুহিনার কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছবিও তোলা হয়েছে।

১১ দিনের মাথায় এল ফরেনসিক দল
Burdwan: মূল অপরাধী বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সুবিচারের অপেক্ষায় তুহিনা খাতুনের দিদি

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in