কংগ্রেসকে আবার নিশানা তৃণমূলের - মুখপত্রে 'কংগ্রেস'কে উদাসীন, রণক্লান্ত, ভারাক্রান্ত বলে আক্রমণ

অন্যদিকে, কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী বিকল্পের কোনও জায়গা নেই, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। মঙ্গলবার তিনি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বাসভবনে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন।
কংগ্রেসকে আবার নিশানা তৃণমূলের - মুখপত্রে 'কংগ্রেস'কে উদাসীন, রণক্লান্ত, ভারাক্রান্ত বলে আক্রমণ
গ্রাফিক্স - নিজস্ব

জাতীয় রাজনীতিতে আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে এসেছেন যে, ইউপিএ নেই। তিনি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেসের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেতে চেয়েছেন। ভেবেছিলেন, কংগ্রেসের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধী জোটের তাঁর মতামতকে সমর্থন করবে বাকিরা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে পরিস্থিতি উল্টো হয়ে যায়। কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি-বিরোধী জোট সম্ভব নয় বলে তাবড় নেতারা জানিয়ে দেন।

কিন্তু তবুও নিজের মতামত থেকে সরে আসেননি তৃণমূল নেত্রী। বুধবারও দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসকে ‘রণক্লান্ত’ বলে কটাক্ষ করা হয়। লেখা হয়েছে, বিজেপিকে প্রতিরোধ করার কথা ছিল কংগ্রেসের। তারাই ছিল কেন্দ্রের বিরোধী দল। কিন্তু কংগ্রেস উদাসীন, রণক্লান্ত, ভারাক্রান্ত, অন্তর্দ্বন্দ আর দলীয় জটিলতায় বিদীর্ণ। কিন্তু, কাউকে এগিয়ে আসতেই হয়। তৃণমূল সেই দায়িত্ব পালন করবে। তারাই আসল কংগ্রেস। মানুষকে বোঝাবে।

উত্তর সম্পাদকীয়তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর তুলনা করে প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল লেখেন, দু’জনই জননেত্রী। দু’জনেই অদম্য সংগ্রামের দ্যুতিতে উজ্জ্বল। শুধু তফাত, পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য মমতাকে শক্তির জোগান দেয়নি।

মঙ্গলবারই দিল্লিতে সংসদ ভবনে বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তৃণমূল নিজেদের শক্তি বাড়াবে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ঘরে-বাইরে লড়বে তৃণমূল।

অন্যদিকে, কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী বিকল্পের কোনও জায়গা নেই, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। মঙ্গলবার তিনি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বাসভবনে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। তারপরে সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান তিনি। তাঁর কথায় - ‘বিজেপির বিরুদ্ধে একটাই বিরোধী ফ্রন্ট থাকবে। কংগ্রেস ছাড়া সেই বিরোধী ফ্রন্ট সম্ভব নয়। দুই-তিনটি ফ্রন্ট করে লাভ কী? এতে বিজেপিই লাভবান হবে।’

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in