পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ভাষণ দিতে দিতে খৈনি মুখে পুরলেন তৃণমূল বিধায়ক, ভাইরাল ভিডিও

তবে বিধায়ক এই কাজ করে ঠিক করলেন কিনা, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। খৈনি কিভাবে তাঁর জীবন বাঁচিয়েছে সেই গল্পও করলেন জনসভায়।
মনোরঞ্জন ব্যাপারী
মনোরঞ্জন ব্যাপারীফাইল চিত্র
Published on

কর্মসূচি ছিল পেট্রোপণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরোধিতা করা। সেখানে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজের দলের কর্মীর কাছ থেকে বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী চেয়ে নিলেন খৈনি। তা দেখে সবাই হাসতে থাকলেন। দৃশ্যটি মোবাইল বন্দি হয়ে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গেল নেট দুনিয়ায়।

যদিও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কী করে তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখে খৈনি পুরলেন! শনিবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে পথে নামে তৃণমূল। এক সভায় মনোরঞ্জনবাবু বক্তব্যের মাঝেই চা খেলেন, এক কর্মীর থেকে নিলেন খৈনি। এরপরে বিধায়ক অনুরোধ করলেন, খারাপ ভাবে নেবেন না। তবে বিধায়ক এই কাজ করে ঠিক করলেন কিনা, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন।

এরপর শুরু করলেন খৈনি কিভাবে তাঁর জীবন বাঁচিয়েছে তার গল্প। বলেন, 'রাজা এসি মল্লিক রোডে একজন জুতো সেলাই করে খৈনি খেতেন। তাঁরা শোলে সিনেমা দেখে খৈনি খাওয়া শিখেছেন। ওনার কাছ থেকে তখন খৈনি চাইতাম। তিনি বানিয়ে দিতেন। একদিন দাঁড়িয়ে খৈনি মুলছিলাম। উল্টোদিকে রাজলক্ষ্মী মিষ্টির দোকান। ওপার থেকে একজন ডাকল মনা একটু খৈনি দিয়ে যা। আমি রাস্তা পার করে ওপারে গেলাম, গড়িয়ার দিক থেকে একটা ডবলডেকার বাস আসছিল। সেখানে এক ভদ্রলোকের পানের দোকান ছিল। তাঁকে, তাঁর ছেলেকে ছাড়া আরও তিন-চারজনকে চাপা দিল বাস। আমি বেঁচে গেলাম খৈনি হাতে ছিল বলে। তাই খৈনিকে কেউ ছোট করে দেখবেন না।'

সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করার জন্যই পরিচিত মনোরঞ্জনবাবু। তাঁর গলায় ঝোলানো থাকে একটি গামছা, পোশাকও পরেন অতি সাধারণ। মনোয়ন জমা দিতে কনভয় নয়, নিজে রিক্সা চালিয়ে গিয়েছিলেন। টোটো করে মানুষের দোরে দোরে ঘোরেন সমস্যার কথা জানতে। কিন্তু যতই তিনি সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করুক না কেন, একটি জনসভায় তার এইভাবে খৈনি খাওয়া নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in