দলেরই সাতজন প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের

হুমায়ুন কবীরের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বিতর্ক কম নয়। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, তৃণমূল থেকে কংগ্রেস, তার পর কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যান তিনি। শেষে ফের তৃণমূলে যোগদান করেন হুমায়ুন।
দলেরই সাতজন প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের
ছবি- অফিসিয়াল পেজ
Published on

সাতজন দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এই ঘটনার জেরে মুর্শিদাবাদে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল। প্রথমে বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন ওই সাতজন প্রধান। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বিধায়ক হুমায়ুন কবীর উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ভরতপুর ব্লকের ওই প্রধানরা। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন বলে নিজেই জানালেন হুমায়ুন।

শনিবার সালারে তৃণমূলে যোগদান সভা ছিল। সেখানে কংগ্রেস এবং বিজেপি থেকে প্রায় ২০০ জন তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের পিছনে কোনও যুক্তি নেই। ২ মে ভরতপুরের বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র দু’টো উন্নয়ন বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম আমি। তাই কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ভিত্তিহীন।' তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর সম্মানহানির জন্য এই ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে। তাই ওই বিধায়কদের বিরুদ্ধে তিনি মানহানির মামলা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। তিনি জানান, বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। ১৫ দিনের মধ্যে নোটিসের জবাব না দিলে আইনি পদক্ষেপ করবেন।

হুমায়ুন কবীরের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বিতর্ক কম নয়। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, তৃণমূল থেকে কংগ্রেস, তার পর কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যান তিনি। শেষে ফের তৃণমূলে যোগদান করেন হুমায়ুন। সম্প্রতি শক্তিনগর এটি সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের সামনে রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে আক্রমণ করার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, 'এই কেন্দ্রের যিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি তাঁর অহংকার ও দাম্ভিকতা আমাকে ভাবায়।' সেই সময় দলের তরফে তাঁকে শোকজও করা হয়।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in