শীর্ষ নেতৃত্বের কাজে হতাশ হয়ে দল ছাড়ার ইঙ্গিত তৃণমূল বিধায়কের!

গিয়াসউদ্দিন মোল্লা হতাশার সাথে বলেন, দল নির্দেশ দিলে হয়তো সবার জন্য প্রচারে যাব কিন্তু ভালো না লাগলে অবসর নেব। শীর্ষ নেতৃত্ব যা বলবে তাই মানতে হবে। আমাদের স্বাধীনতা নেই। নেত্রী যা বলেন তাই মানতে হয়।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। একাধিক সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে বিরক্ত হয়ে রাজনীতি ছাড়তে চাইছেন তিনি।

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মগরাহাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। দ্বন্দ্ব মূলত মগরাহাট পশ্চিমের ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি মানবেন্দ্র মন্ডল এবং বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার মধ্যে।

গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও মানবেন্দ্র মন্ডল এই দুই গোষ্ঠীকে ফিফটি-ফিফটি সিট বন্টনের নির্দেশ দেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। গিয়াসউদ্দিন মোল্লার অভিযোগ, মানবেন্দ্র অনুগামীরা তাদের পছন্দমত কোথাও ৫০% আবার কোথাও ৫৫%, আবার কোথাও ৬০% আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আর বাকি সিটগুলি তাঁর অনুগামীদের জন্য ফেলে রেখেছেন। দীর্ঘদিন যাঁদের সাথে রাজনীতির যোগ নেই তাঁরাও টিকিট পেয়ছেন।

এতেই বেজায় চটেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি হতাশার সাথে বলেন, "দল নির্দেশ দিলে হয়তো সবার জন্য প্রচারে যাব, কিন্তু ভালো না লাগলে অবসর নেব। শীর্ষ নেতৃত্ব যা বলবে তাই মানতে হবে। আমাদের স্বাধীনতা নেই। নেত্রী যা বলেন তাই মানতে হয়। নিজের স্বাধীনতা বলে কিছুই নেই।"

অন্যদিকে মানবেন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনো 'ফিফটি ফিফটি' ভাগ নেই। দল যাদের টিকিট দিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকে তৃণমূলের কর্মী। আমাদের লক্ষ্য সবাইকে জেতানো। উনি ব্যক্তিগত ভাবে কী জানিয়েছেন সেটা ওনার ব্যাপার। আগামী দিনে উনি কী করবেন সেটাও ওনার ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য মগরাহাট পশ্চিমে ২৬৬টি সিট রয়েছে। প্রতিটি প্রার্থীকে আমাদের জেতাতে হবে। যারা ২০২১ বিধানসভায় তৃণমূলকে জেতাতে সাহায্য করেছে দল তাদের টিকিট দিয়েছে। আমাদের সাথে কারুর বিরোধ নেই।

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দশম শ্রেণির বইয়ের প্রস্তাবনা থেকে উধাও ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
২০,৫৮৫ মনোনয়ন প্রত্যাহার কেন? কমিশনের কাছে জবাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in