চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। ১৩ জনের কাছ থেকে প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা নিয়েছেন ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় - এই সংক্রান্ত একটি খবর উত্তরবঙ্গের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেই খবরকে উল্লেখ করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন শিলিগুড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ- প্রাথমিক শিক্ষক ও জলসম্পদ দপ্তরে চাকরির নাম করে ১৩ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায়।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন- “খবরটি পাঠ করে একজন বিধায়ক হিসাবে আমি বিস্মিত। একজন শাসক দলের বিধায়ক সরকারি চাকুরী দেবার নাম করে এভাবে বেআইনি পথে ঘুষ বা অর্থ নিতে পারে!” ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গেছে এই ঘটনা সামনে আসার পর। ২০১৮ সালে যে ১৩ জন চাকুরীপ্রার্থী টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা টাকা ফেরৎ দেবার দাবি করছেন।
চিঠিতে অশোকবাবু আরও অভিযোগ করেন - শাসক দলের প্রশ্রয়েই এইধরনের প্রতারণা দিন দিন বেড়ে চলেছে। কারণ দলীয় অথবা প্রশাসনিক স্তরে এইধরনের ঘটনায় কোনোরকম তদন্ত অথবা ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
এই চিঠি সোশ্যাল নেটওয়ার্কস সাইটে ইতিমধ্যেই তিনি পোস্ট করেছেন। সঞ্জিত দে নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন- “৮৩ লক্ষ সামনে এসেছে আরও আছে, সেই সাথে বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থা থেকে তোলা আদায় সহ পরিমান প্রায় তিন কোটি।”
চিঠির একেবারে শেষে অশোক ভট্টাচার্য লিখেছেন- “আপনার কাছে আমার অনুরোধ, ধূপগুড়ি থেকে নির্বাচিত বিধায়ক মিতালি রায়ের বিরুদ্ধে মত দ্রুত সম্ভব দলীয় ও প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নিন। ভবিষ্যতে যাতে বেকারদের এইভাবে প্রতারিত না হতে হয়, তা সুনিশ্চিত করুন।” ঠিক বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা সামনে আসতেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা কি পদক্ষেপ নেন সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।