

কার্যত নজিরবিহীনভাবে বিচারব্যবস্থাকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হলদিয়ার শ্রমিক সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিচারপতিদের মধ্যে কয়েকজনকে তল্পিবাহক বলেন তিনি।
শ্রমিক সমাবেশের মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, বিচারপতিদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন যাঁরা তল্পিবাহকের ভূমিকা পালন করছেন। এখন কিছু হলেই সিবিআই। এমনকি খুনের মামলাতেও স্থগিতাদেশ দিচ্ছে। অভিযুক্তকে নিরাপত্তা দেওয়া যায় কিন্তু কখনও স্থগিতাদেশ দেওয়া যায় না। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই কথা বলার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হতে পারে। তবে তিনি সতিয় কথা বলতে ভয় পান না। যেটা ঠিক সেট প্রয়োজনে একশো বার বলতেও রাজি।
তৃণমূল নেতার এহেন মন্তব্যের জেরে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, তৃণমূল সাংসদ হয়তো ভয় পেয়ে গেছেন তাই এমন মন্তব্য করছেন। নিজের পক্ষে রায় হলে বিচারব্যবস্থা ভালো আর বিপক্ষে রায় গেলেই খারাপ এইধরণের মানসিকতা একমাত্র তৃণমূলের থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসতেই রাজ্যের ভগ্নদশা চিত্রটা সকল রাজ্যবাসীর কাছে ফুটে উঠেছে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। বরখাস্ত হবার পাশাপাশি এতদিন পর্যন্ত অঙ্কিতা অধিকারী বেতন বাবদ যত টাকা পেয়েছেন তার সবটাই ফেরত দিতে হবে আদালতের কাছে।
শুধু এসএসসি দুর্নীতি নয়, কয়লা পাচার থেকে শুরু করে গরু পাচার প্রত্যেকটি মামলায় আদালতে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এই মামলাগুলি তদন্ত করছে সিবিআই। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সম্ভবত আদালতের কাছে বারবার তিরস্কৃত হয়েই এমন ধরেনের মন্তব্য করছেন তৃণমূল নেতারা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন