
আগামী বিধানসভা অধিবেশনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের অপসরণ চাইতে পারে শাসকদল তৃণমূল। এরকমই রেজলিউশন পাস করতে চেয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে আলোচনাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দ্বৈরথ লেগেই থাকে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বরাবরই তাঁর কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করা হয়। এর আগেও তাঁর অপসারণ চেয়েছে শাসকদল।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুধু তৃণমূল নয়, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব বামফ্রন্টও। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, 'রাজ্যপাল যে ভাবে চলছেন, তা ঠিক নয়। তিনি সাংবিধানিক সীমা লংঘন করে কাজ করছেন। তিনি তো বিজেপির কেউ নন। কিন্তু তাঁর কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে যে, তিনি বিজেপির লোক। এটা রাজ্যপালের ভূমিকা হতে পারে না।'
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। সম্প্রতি দিল্লিতে অধীরের বাসভবনে যান রাজ্যপাল। সেই সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে উল্লেখ করেন অধীর। রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও তিনি বলেন, 'রাজ্যপালের সব বক্তব্যকে সমর্থন করি না। তৃণমূল যদি রাজ্যপালকে সরাতেই চায়, তাহলে তাদের রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়া উচিত। কারণ তিনি রাজ্যপালের নিয়োগকর্তা।'
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমার নতুন করে বলার কী আছে! একটা বাচ্চা হলে বকে চুপ করানো যায়। এখানে স্পিচ ইজ সিলভার অ্যান্ড সাইলেন্স ইজ গোল্ডেন। তুমি অধম হলে আমি উত্তম হইব না কেন? রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়োগ করার নিয়ম থাকলেও, যখন রাজ্যপাল করা হয়েছে, তখনও আমায় জিজ্ঞাসা করা হয়নি। তাই উনি চলে গেলেও কি আমাকে জিজ্ঞাসা করা হবে? আমি তো প্রধানমন্ত্রীকে দু-তিন বার চিঠি লিখেছি ওঁকে উইথড্র করে নেওয়ার জন্য।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন