বিজেপি এবং তৃণমূল আলাদা কিছু নয়। ত্রিপুরায় গোটা তৃণমূলই সাইনবোর্ড পাল্টে বিজেপি হয়ে গিয়েছিল। তাই রাজ্যে বিজেপির আসা ঠেকানোর কোনও ক্ষমতা তৃণমূলের নেই। একমাত্র সংযুক্ত মোর্চাই পারবে বাংলাকে বাঁচাতে। আগে তৃণমূলকে হটিয়ে বাংলা বাঁচাতে হবে। তারপর গোটা দেশ থেকে বিজেপিকে হটানোর কাজ শুরু করতে হবে। মাথাভাঙ্গা, ফালাকাটা, শীতলকুচিতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করতে এসে এভাবেই তৃণমূল-বিজেপিকে বিঁধলেন সিপিআই(এম) পলিটব্যুরোর সদস্য ও ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
মানিক সরকারের বক্তব্য, চোর কী করে ডাকাতদের রুখবে। বাংলার মানুষ ১০ বছর ধরে বঞ্চিত। তাঁদের সব বঞ্চনার জবাব দিতে হবে এবার ইভিএমেই। ১০ বছরের রাজ্যের অবস্থা শোচনীয় হয়েছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে না বুঝেই আগে থেকে দলে দলে নেতারা বিজেপিতে যোগদান করছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি নাকি সোনার বাংলা গড়বে! বিজেপি ত্রিপুরাকে ছারখার করে দিয়েছে। তাই বাংলার মানুষ বিজেপিকে আসার সুযোগ দেবেন না। বিজেপি কখনওই তৃণমূলের বিকল্প নয়। বিজেপি একটা জুমলা দল। বিজেপির মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ফাঁদে ত্রিপুরার মানুষ পা দিয়েছিলেন। তারই ফল ভুগতে হচ্ছে।
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ত্রিপুরায় সরকারি চাকরি বলে কিছু নেই। পিয়ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সবই কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে চুক্তির ভিত্তিতে, ন্যূনতম মজুরিতে নিয়োগ হয়। রেগায় ত্রিপুরার মানুষ গড়ে ৯২ দিন করে কাজ করেছেন বামেদের আমলে। তখন দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে ছিল ত্রিপুরা। কিন্তু সেই কাজের দিন সংখ্যা এখন এসে দাঁড়িয়েছে ৩৪ দিনে।
তাঁর বক্তব্য, ধর্মের নামে দু'টো দলই রাজ্যকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। সেখানে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এদিন তিনি বলেন, আমরা বামেরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিই না। যা প্রতিশ্রুতি দিই, ক্ষমতায় এসে তার বেশি করার চেষ্টা করা হয়। সংযুক্ত মোর্চা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাই পূরণ করার চেষ্টা করবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।