

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁর সরকারের উন্নতির কথা তুলে ধরতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং সেই বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়েছে এই রাজ্যের মা উড়ালপুল ও তার সংলগ্ন পরিবেশের ছবি। একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের প্রথম পাতাজুড়ে সেই বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। তারপরে শোরগোল পড়ে যায় রাজনীতিতে।
এমনিতেই যে কোন ইস্যুতে কেন্দ্র সরকার তৃণমূলের, আবার রাজ্যের শাসক দল বিজেপির সমালোচনা করে। তাদের পারস্পরিক সমালোচনার পালা নিয়ে কটাক্ষ করলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, 'অদ্ভুত অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটছে। যোগী আদিত্যনাথ বিজ্ঞাপন করেছেন কলকাতার মা ফ্লাইওভার ও তার আশেপাশের হোটেল দিয়ে। তৃণমূল এমনভাবে লাফালাফি করছে যে মনে হচ্ছে কলকাতা মানেই তৃণমূল। সবাই জানেন, মা ফ্লাইওভারের যাবতীয় কাজকর্মের নব্বই শতাংশ তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই হয়ে গিয়েছিল।'
সিপিএম নেতা আরও বলেন, ‘তৃণমুল সরকারে এসে বলেছিল পুজোর সময় ওই ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবে। অর্থাৎ ফ্লাইওভারের ভাবনা, নীল-নকশা ও তার বাস্তবায়ন নব্বই ভাগ আগেই হয়ে গিয়েছিল। তৃণমূল এসে নীল-সাদা রং লাগিয়েছে। আশপাশের হোটেলগুলো তো কত পুরনো। দুর্ভাগ্য বিজেপিকে সেই বাম আমলের কলকাতা দেখিয়ে কৃতিত্ব নিতে হচ্ছে। পরের দ্রব্য না-বলিয়া লওয়াকে চুরি বলে।'
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে ২০০৯ সালে ৩১৭.৯২ কোটি টাকা খরচ করে ৩০ মাসের মধ্যে ৮.১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ অধুনা মা ফ্লাইওভারের পরিকল্পনা করা হয়। কাজ শুরু ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ২০১১তে রাজ্যে ক্ষমতার হাতবদল হয়। সেই সময়ের পরমা নাম বদলে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নামকরণ করেন মা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন