গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছেই কাটমানি চাইছেন খোদ ব্লক তৃণমূল সভাপতি। কাটমানি না পাওয়ায় একাধিক উন্নয়নের কাজ আটকে রয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকে দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের সদস্যরাই এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলছেন। প্রতিবাদ জানিয়ে ব্লক সভাপতি হজরত আলিকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে মঙ্গলবার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভ দেখান।
হজরত আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজের জন্য তিনি দলীয় সদস্যদের কাছে কমিশন চাইছেন। কিন্তু সদস্যরা তা দিতে নারাজ। তখনই তিনি প্রভাব খাটিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন। এসবের প্রতিবাদেই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা।
ওই পঞ্চায়েতের সদস্য ও তৃণমূলের এক নেতার কোথায়, 'আমাদের দলের ব্লক সভাপতি আমাদের দলেরই প্রধান ও সদস্যদের কাছে বিভিন্ন কারণে তোলা চাইছেন। প্রধান এবং আমরা স্বচ্ছভাবেই পঞ্চায়েতের কাজ করি। কিন্তু ব্লক সভাপতিকে তোলা দিতে না পারায় তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ প্রভাব খাটিয়ে আটকে দিচ্ছেন। পঞ্চায়েত প্রধানকে হেনস্তা করছেন। বিভিন্ন কাজে পার্সেন্টেজও চাইছেন।'
হজরত আলি অবশ্য সাফাই গেয়েছেন, 'এসব কথা ভিত্তিহীন। আমি ওঁদের কাছে কোনওদিন এক পয়সাও চাইনি। সৎভাবে আছি বলে তিন দফায় ব্লক সভাপতি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে তার ভিত্তি নেই। ওই পঞ্চায়েত প্রধান আমার আত্মীয়। গতকালও তার সঙ্গে দেখা হয়েছে। এসব কোনও কথাই হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন কোনও কাটমানি চলবে না। আমরাও কোনও কাটমানি নিইনি, নেব না।'
জেলার সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'দলের আলোচনা দলের মধ্যেই হওয়া উচিত। তা সংবাদমাধ্যমে আসা উচিত নয়। যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে দলেই সুরাহা করা যায়। দলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুরের সঙ্গেও এবিষয়ে আলোচনা করা যেত। প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখানো ঠিক নয়।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।